সিউল, (১০ জুলাই) দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর জীবন ও কর্মের উপর পাঁচ দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম এবং কোরিয়া কালচার এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জে–মিন জং যৌথভাবে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে গণতন্ত্র, শান্তি এবং ধর্মনিরপেক্ষতার এক মূর্ত প্রতীক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন মানবতা, জনগণের ক্ষমতা এবং আর্থসামাজিক মুক্তির অগ্রদূত যা প্রদর্শনীর আলোকচিত্রগুলোতেও প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই প্রদর্শনী দক্ষিণ কোরিয়ার বন্ধুপ্রতিম জনগণকে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর রূপকল্প, আদর্শ ও পরম্পরা সম্পর্কে জানতে অনুপ্রাণিত করবে।
কোরিয়ান কালচার এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জে–মিন জং তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর দেশ ও গণতন্ত্র, শান্তি ও মানবাধিকার নিশ্চিত করবার জন্য নিপীড়কদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন। তাঁর অসামান্য অবদান ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হতো না। নিজ দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবার জন্যই তিনি জাতির পিতা হিসেবে অভিহিত হয়েছেন। এই তাৎপর্যপূর্ণ উদ্যোগে কোরিয়া কালচার এসোসিয়েশনকে সম্পৃক্ত করবার জন্য তিনি সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক সাদৃশ্য তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে কোরিয়ান জনগণের পক্ষে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আরো ভালোভাবে জানবার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকবৃন্দ, সুশীল সমাজের সদস্যবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণ অংশগ্রহণ করেন। প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মেরে উপর নির্মিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। আগামী ১৩ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০ টা হতে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।