বিএনএ ডেস্ক: কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাছে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণের ঘটনায় পুলিশের এক সদস্যসহ দুজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১০ জুন) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক সশস্ত্র কনস্টেবল হঠাৎ করে তাঁর এসএলআর থেকে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করেন। এই গুলিবর্ষণের সময় ওই রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন এক নারী। পুলিশ কনস্টেবলের এলোপাতাড়ি গুলি তাঁর শরীরে লাগলে তিনি নিহত হন। গুলিতে নিহত নারীর নাম রিমা সিং। তাঁর বাড়ি হাওড়ার দাসনগরে। তিনি অ্যাপের মাধ্যমে ‘র্যাপিডো’ মোটরসাইকেল বুক করে আসছিলেন।
গুলিবর্ষণকারী পুলিশ কনস্টেবল চোডুপা লেপচা এসএলআর দিয়ে নিজের গলায়ও গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন।
পুলিশ জানায়, নিহত লেপচা বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের পুলিশ আউটপোস্টে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। ছুটি কাটিয়ে আজই তিনি কাজে যোগ দেন। বেলা দুইটার দিকে হঠাৎ তাঁর এসএলআর দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ৫ মিনিটের মধ্যে তিনি ১০ থেকে ১৫টি গুলি ছোড়েন। বছরখানেক আগে লেপচা কলকাতা পুলিশে চাকরি পেয়েছিলেন।
লেপচার সহকর্মীদের দাবি, তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তবে, পুলিশকর্মী চোডুপ লেপচার পরিবারের দাবি, তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন। তিনি কাজে যোগ দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই কী কারণে এমন কাণ্ড ঘটালেন চোডুপ, তা এখনও বোধগম্য হচ্ছে না তাঁর নিকটাত্মীয়দের।
কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন দপ্তরের ৫০ মিটার দূরে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর গোটা পার্ক সার্কাস এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গুলিবর্ষণের সময় মানুষ এদিক-ওদিক ছুটতে থাকে।
বিএনএ/ এ আর