বিএনএ, বিশ্ব ডেস্ক: সাম্প্রতিক নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে তৃতীয়বার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শপথ নিয়েছেন। বিধায়করাও বিধানসভায় শপথ নিয়েছেন। সোমবার(১০মে) মমতার নতুন সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার মাত্র ছয় মিনিটে সম্পন্ন হয় ৪৩ সদস্যের মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।
জানা যায়, মন্ত্রীসভার তালিকায় রয়েছেন ২৪ জন পূর্ণমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন ৯ জন। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ১০ জন।
তালিকায় দেখা যায়, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় থেকে নির্বাচিত ৭ জন বিধায়ক স্থান পেয়েছেন নতুন সরকারের মন্ত্রীসভায়। তার মধ্যে ৪ জন পূর্ণমন্ত্রী, ১জন স্বাধীন প্রতিমন্ত্রী ও দু’জন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন তারা হলেন কলকাতার বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিম, জাভেদ আহমেদ খান, সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ও গোলাম রব্বানি। এঁদের মধ্যে গোলাম রব্বানি তৃণমূলের দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় অর্থাৎ বিদায়ী মন্ত্রিসভায় পঞ্চায়েত দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। স্বাধীন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব যে তিনজনকে দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে এই প্রথম মন্ত্রী হলেন আখরুজ্জামান। তিনি দুই বছর আগে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।
হুমায়ুন কবীর ও সাবিনা ইয়াসমিন ২০১১ সালে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মমতার মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। এবার দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিধায়ক ফের নির্বাচিত হন তারা। সে কারণে মমতা তাদের মূল্যায়ন করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানের জয় পান তৃণমূলের হয়ে মালদহ জেলার সুজাপুরের প্রার্থী সাবেক বিচারপতি আব্দুল গনি। যে কারণে সাবেক এ বিচারপতির মন্ত্রিত্ব পাওয়া এক প্রকার নিশ্চিত বলে খবরও প্রকাশ করেছিল ভারতীয় গণমাধ্যম,তিনিও স্থান পান নি মমতার এবারের মন্ত্রীসভায় ।
এদিকে
মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়াও মমতা নিজের হাতেই রেখেছেন স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন এবং উদ্বাস্তু উন্নয়ন দফতর। তবে এবার আর সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর নিজের হাতে রাখেননি মমতা। মন্ত্রিসভার নতুন মুখ গোলাম রব্বানির পেয়েছেন সেই দায়িত্ব।
বিএনএ নিউজ২৪/এসজিএন