বিএনএ, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে শরীফ চৌধুরী শান্ত হত্যার ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। রোববার (১০ এপ্রিল) বেলা ১২ টার দিকে জেলা পিবিআই কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে শনিবার (৯ এপ্রিল) ভোর সোয়া ৫ টার দিকে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থানার পাগলা রেললাইন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নগরীর সানকিপাড়া এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুর মোহাম্মদ ওরফে মোহন (২১) এবং একই এলাকার মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে মো. মুনা (২৫)।
এ বিষয়ে জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, নিহত শরীফ চৌধুরী শান্ত এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা সবাই একে অপরের বন্ধু ছিলেন। তারা নগরীর চরপাড়া এলাকায় একসাথে ওই এলাকার ফুটপথে অস্থায়ী দোকান থেকে সাপ্তাহিক চাঁদা তুলতেন। সম্প্রতি নিহত শরীফ আলাদা গ্রুপ করে চাঁদার টাকা তুলা শুরু করেন। পরে গ্রেপ্তারকৃতরা তাকে অনেক বুঝিয়ে শরীফকে তাদের গ্রুপে আসতে বলে এবং চাঁদার টাকা ভাগাভাগি করে নিতে বলেন। এতে শরীফ অস্বীকৃতি জানায়। এই ক্ষোভ থেকে গ্রেপ্তারকৃত তিনজন মোট ৫ জন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
তিনি বলেন, গত বুধবার রাতে ১২ টার দিকে তারা মন্ডল প্লাজা, চরপাড়া চৌধুরী ক্লিনিকের গলিতে ওৎপেতে বসে থাকেন। এসময় শরীফ আসতেই তাকে উপর্যুপরি ১৮ বার বুকে পিঠে ছুরিকাত করে ফেলে রেখে যায়। তবে শরীফের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে কিনা দেখার জন্য আবার ঘটনাস্থলে আসে। পরে তাকে মৃৃত দেখে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা শরীফকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্ ঘোষণা করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) ভোররাত সাড়ে ৪ টার দিকে ৩ আসামিকে নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন, মহানগরীর মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. শান্ত ইসলাম (২০), সদর উপজেলার পরানগগঞ্জ ভাটিপাড়া এলাকার মো. কেরামত আলীর ছেলে মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ (২২), জেলার তারাকান্দা উপজেলার নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. রাকিবুল হাসান তপু (২৫)।
নিহত শরীফ জেলার গৌরীপুর উপজেলার টাঙ্গুয়া এলাকার শহিদ মিয়ার ছেলে। তবে বাবার ক্লিনিক ব্যবসার সুবাধে নগরীর চরপাড়া এলাকাতেই পরিবারের সঙ্গে থাকতেন শরীফ।
বিএনএ/ হামিমুর, এমএফ