বিএনএ ডেস্ক: ভারতের ঝাড়খাণ্ডে স্থাপিত আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিটে প্রথমবারের মতো সঞ্চালন লাইন দিয়ে ভারতীয় এই কোম্পানির বিদ্যুৎ প্রাথমিকভাবে দেশে এসেছে। আদানির এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সোমবার বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল ভারতে যাবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিটে বাংলাদেশের জাতীয় সঞ্চালন গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত হয় আদানির বিদ্যুৎ। প্রাথমিকভাবে ২৫ মেগাওয়াট সরবরাহ করছে কোম্পানিটি।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশেল (পিজিসিবি) মুখপাত্র এ বি এম বদরুদ্দোজা সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যা থেকে আদানির বিদ্যুৎ বাংলাদেশের গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫ মেগাওয়াট আসছে। পর্যায়ক্রমে এর পরিমাণ বাড়বে।’
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী আদানির কেন্দ্র থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছিল।
আদানির বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়া নিয়ে বির্তক চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। এর মধ্যেই আদানির গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরুর তোড়জোড় হয়। কেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল ২৬ মার্চ। তবে গত বুধবার রাতেই পরীক্ষামূলকভাবে কেন্দ্রটি চালু করা হয়। সে সময় ৭৪৬ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেছে।
গত মাসে দেয়া প্রতি টন কয়লার দাম ৪০০ ডলার অনুযায়ী আদানির এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়বে ২৫ টাকার বেশি। এর মধ্যে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বা কেন্দ্র ভাড়া রয়েছে ৫ টাকা ১১ পয়সা। বাংলাদেশে কোনো বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে এতে বেশি কেন্দ্র ভাড়া দেয়া হয়নি। এ ছাড়া আদানিকে কয়লার সিস্টেম লসসহ বেশ কিছু সুবিধা দেয়া হয়েছে, যা আর কাউকে দেয়া হয়নি। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার দাম, বিদ্যুতের সঞ্চালনসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ১৩ মার্চ ভারতে যাবেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।
আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দুটি ইউনিটে মোট এক হাজার ৪৯৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাসম্পন্ন। এর মধ্যে ৭৫০ মেগাওয়াটের ইউনিটটি চালু হলো। দ্বিতীয় ইউনিটেরও এ বছরেই উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে।
বাণিজ্যকভাবে চালু হওয়ার পর ৭২ ঘণ্টা একনাগাড়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রাখতে হবে। এরপরে ঠিক হবে কেন্দ্রটির স্থাপিত ক্ষমতা। সে অনুযায়ী কেন্দ্রটি ক্যাপাসিটি পেমেন্ট পাবে।
পিজিসিবি সূত্র বলছে, আদানির বিদ্যুৎ সঞ্চালন করার জন্য ভারত ও বাংলাদেশ প্রান্তে যে গ্রিড লাইন রয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অংশের কাজ শেষ করেছে পিজিসিবি। সংস্থাটির তরফ থেকে পিডিবিকে আনুষ্ঠানিকভাবে লাইনটি বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানানো হয়।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ