বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউএসটিসি) ১৮ তলাবিশিষ্ট একটি ভবনের একাংশ ভেঙে দিচ্ছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। বুধবার (১০ মার্চ) সকাল থেকে বহুতল ওই ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু করা হয়। সিডিএ’র স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলমের নেতৃত্বে এ অভিযানে সহায়তা করছে সেনাবাহিনী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মঈনুদ্দীন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ আলী।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’নামের গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬টি খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। ইতোমধ্যে ৩৬টি খাল থেকে ৩ হাজার ১৫৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় ইউএসটিসির অবৈধভাবে গড়ে উঠা বর্ধিত ভবনটি। এছাড়া আরেক বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবর্তক মোড় ক্যাম্পাসের একটি ভবনও রয়েছে।
এ বিষয়ে সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মঈনুদ্দিন জানান, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় গয়নার ছড়া খাল দখল করে গড়ে তোলা ওই বহুতল ভবন ভাঙা হচ্ছে। নিজেদের জায়গায় ওই ভবন নির্মাণে সিডিএ’র কাছ থেকে ১৬ তলার নকশার অনুমোদন নিলেও ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষ নকশা না মেনে ১৮ তলা ভবন নির্মাণ করে। ভবনটি নির্মাণে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ স্কয়ার ফুট খালের জায়গা দখল করে তারা।
তিনি বলেন, খাল দখল করে অবৈধভাবে নির্মাণ করা অংশটুকু সরিয়ে ফেলতে ২০১৯ সালের অক্টোবরে ইউএসটিসিকে ৯০ দিনের সময় দেওয়া হয়। সময় দেওয়ার পরে প্রায় ১৬ মাস পার হলেও তারা অবৈধ অংশটুকু সরিয়ে নেয়নি। তাই বর্ষার আগেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছি।
বিএনএনিউজ/মনির