বিএনএ, ঢাকা : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানির প্রসার দ্রুত করা আবশ্যক। তিনি বলেন ‘পাওয়ার সেক্টর মাস্টারপ্ল্যান’ অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে বর্তমানে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ পাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে। ক্লিন এনার্জি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পূর্ণ হবে।
প্রতিমন্ত্রী সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ ভবনে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে ৬৮ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সিরাজগঞ্জ সোলার পার্ক প্রকল্পের পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট (পিপিএ) এবং ইমপ্লিমেন্টেশন এগ্রিমেন্ট (আইএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সোলার প্রজেক্ট করার মতো অকৃষি জমি পাওয়া দুষ্কর। যতটা অকৃষি জমি পাওয়া যায় তাতেই সোলার বা নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ হতে দ্রুত ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলমান রয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষে যুগ্ম সচিব নিরোদ চন্দ্র মন্ডল, বিউবোর পক্ষে বোর্ড সচিব মোহাম্মদ সেলিম রেজা এবং বাংলাদেশ-চায়না রিনিউএবল এনার্জি কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে কোম্পানির সচিব বিমল চন্দ্র রায় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিসিআরইসিএল এবং কনসোর্টিয়াম অভ্ প্যারিওশেন-ফেডি-সিনোহাইড্রো, চায়না’র মধ্যে এই প্রকল্পের ইপিসি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর ২০ বছরের লেভেলাইজড ট্যারিফ ১০ দশমিক ২০ ইউএস সেন্ট/কিলোওয়াট-আওয়ার। প্রকল্পটির করিগরি পরামর্শক ZTENCO Limited, Bangladesh এবং ব্যয় ৮৭ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ডলার।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে স্রেডার চেয়ারম্যান মুনীরা সুলতানা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুর রহমান ও
নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী খোরশেদুল আলম বক্তব্য রাখেন।
বিএনএনিউহ/এইচ.এম/জিএন