বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দর ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে ১০-২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান।
রোববার (১০ জানুয়ারি) নগরীর আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে দ্য চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, করোনাকালে সমগ্র বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে তখন বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল উল্লেখযোগ্য যা অন্যান্য দেশ থেকে এদেশকে আলাদা করেছে। সম্প্রতি ঢাকা এবং আংকারায় দুদেশের নতুন দূতাবাস নির্মাণ পারস্পরিক সম্পর্কে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাই তুর্কি রাষ্ট্রপতির সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করা বেশি প্রাধান্য পেতে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে পারস্পরিক বাণিজ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) দুদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনলাইন বিটুবি সভা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি উক্ত বিটুবি সভায় অংশ নিতে চিটাগাং চেম্বারকে আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রামে তুর্কির এলপিজি প্রতিষ্ঠান অ্যাইগ্যাজ ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে উল্লেখ করে একটি হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনার কথাও জানান। এক্ষেত্রে তিনি চিটাগাং চেম্বারের সার্বিক সহায়তা কামনা করেন। এ ছাড়া চেম্বার কর্তৃক আয়োজিত চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পার্টনার কান্ট্রি হিসেবে অংশগ্রহণে তুরস্কের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশ ও তুর্কির মধ্যে ব্যবসায়িক সম্ভাবনার আরও সদ্ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের দুই বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রাকে আমরা স্বাগত জানাই। এক্ষেত্রে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত প্রণোদনা কাজে লাগিয়ে তুর্কি ব্যবসায়ীরা মিরসরাইসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারে। উভয় দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হলে তা শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
চেম্বার সভাপতি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে সফরকালে তুর্কি প্রেসিডেন্টকে চট্টগ্রাম ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান। উভয় দেশের বেসরকারি খাতের উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগে একটি ১০ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নেরও অনুরোধ করেন তিনি।
এ সময় তুরস্কের অনারারী কনস্যুল জেনারেল সালাহ্উদ্দীন কাসেম খান, চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মো. জহুরুল আলম, অঞ্জন শেখর দাশ, বেনাজির চৌধুরী নিশান, মো. আবদুল মান্নান সোহেল, মো. এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর ও তাজমীম মোস্তফা চৌধুরীসহ দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারী গাইজেম আয়দিন এরদেম ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কেনান কালাইছি উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএনিউজ/মনির