।। হাছিনা আখতার মুন্নী / বাবর মুনাফ ।।
জুলাই- আগষ্ট পরবর্তী রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরও পুলিশের অনেক সদস্য ফ্যাসিস্ট চরিত্র থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি। টাকার বিনিময়ে তারা এখনো নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে। সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন রাতারাতি বিএনপির ছায়াতলে আসা আওয়ামী লীগের নেতাদের। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর ইমরুল ফাহাদ অন্যতম। যিনি বর্তমানে ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমে কর্মরত রয়েছেন। দূর্নীতিতে চৌকস এই ইমরুল ফাহাদ রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর রাজধানীর সংবাদপত্র হকার্স সমিতির দুই পরিচালককে হাজারীবাগ থানার একটি ভূয়া মামলায় গ্রেপ্তার করে। পরে কৌশলে উত্তরার দক্ষিণখানের আওয়ামী লীগ নেতা কালা সরোয়ারকে সংবাদপত্র বিতরণের সমিতিটি দখলে সহযোগীতা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক প্রচার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ রাজ্জাক অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর শাহবাগ থানার বিজয় নগর আজিজ কো-অপারেটিভের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ সমিতি লিমিটেড দখল করার জন্য উত্তরা থানার দক্ষিণখানের আওয়ামী লীগ নেতা সরোয়ার হোসেন প্রকাশ কালা সরোয়ারের সঙ্গে মোটা অংকের চুক্তি হয়। ডিবি পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর ইমরুল ফাহাদের পরার্মশে আওয়ামী লীগ নেতা কালা সারোয়ার কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার তবকপুর গ্রামের শেখ মুহাম্মদ আলাউদ্দিনের পুত্র শেখ মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে গত ২৯ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালসহ ২০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। আদালত মামলাটি হাজারীবাগ থানার ওসিকে রের্কড করার আদেশ দেয়। হাজারিবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ৩০ আগষ্ট মামলাটি রের্কড করেন। যাহার নম্বর ১২(৮)২৪। এই মামলায় ১০ থেকে ২০ নম্বর ক্রমিকে যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ সমিতি লিমিটেডের পরিচালক। তারা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। অথচ তাদের আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সঙ্গে জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
হাজারিবাগ থানায় দায়ের হওয়া মামলার বাদি শেখ মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ অভিযোগ করেন, গত ৪ আগষ্ট বিকাল সাড়ে ৬টার দিকে হাজারীবাগ থানার জিগাতলা মোড়ে ওয়ালটন শো রুমের সামনে মোবেশ্বর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র হাজারিবাগ খালপাড় এলাকার আব্দুল মতিনের ১২ বছর বয়সী শিশু আব্দুল মেতালিবকে হত্যা করা হয়েছে। মামলায় বাদি নিজেকে নিহত আব্দুল মেতালিবের প্রতিবেশি হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর জিগাতলা মোড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মোবেশ্বর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আব্দুল মোতালিব। এ ঘটনায় গত ২৬ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মোতালিবের বাবা আব্দুল মতিন।
কিন্তু একই ঘটনায় গত ৩০ আগস্ট আদালতের নির্দেশে আরেকটি হত্যা মামলা নেয় ডিএমপির হাজারীবাগ থানা পুলিশ। ওই মামলার বাদী শেখ মুহা. মাছুম বিল্লাহ নামের এক ব্যক্তি। মাছুম বিল্লাহ ভিকটিমের নাম উল্লেখ করেন আব্দুল মোতালিব মুন্না। তার বয়স উল্লেখ করেন ১২ বছর। বাদীর সঙ্গে ভিকটিমের কোনও সম্পর্ক নেই। শিক্ষার্থী মোতালিবের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায়। আর মাছুম বিল্লাহর বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুরে।
আব্দুল মতিন এজাহারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালসহ ১৭৭ জন আসামির নাম উল্লেখ করেন। এর মধ্যে সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
অন্যদিকে হাজারীবাগ থানায় মাছুম বিল্লাহ বাদী হয়ে যে অভিযোগ দিয়েছেন সেখানে আসামি করেছেন ২০ জনকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এদের কারও বাসা ওই এলাকায় নয়, আবার অধিকাংশই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না। শুধুমাত্র বিজয় নগরস্থ হকার্স কল্যাণ সমিতি দখল করার জন্য আওয়ামী লীগ নেতা সারোয়ার হোসেন আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম প্রথমে উল্লেখ করে শেষের দিকে সমিতির পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম যুক্ত করেছেন। সেই সঙ্গে তাদের নামের পাশে হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন ভুয়া পদবী দেখিয়েছেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর যেন সহজে জামিন না পায়!
ঘটনার এখানেই শেষ নয়- হাজারীবাগ থানার দায়ের করা মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা না হওয়ার পরও গত ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে ডিবির সাব-ইন্সপেক্টর ইমরুল ফাহাদ ওয়ারি জোনের কয়েকজন ডিবি পুলিশ, বাদী মাসুম বিল্লাহ ও তার গডফাদার দক্ষিণ খানের আওয়ামী লীগ নেতা সরওয়ার হোসেন প্রকাশ কালা সরওয়ারসহ সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে উপস্থিত হন। তারা হাজারীবাগ থানায় দায়ের হওয়া ভূয়া মামলার ১০ জন পরিচালকের নাম ধরে খুঁজতে থাকেন। সমিতির সব কর্মকর্তা কর্মচারিদের অস্ত্রের মুখে বের করে দিয়ে বিজয়নগরস্থ ঢাকা শহরে সংবাদপত্র বিতরণ কার্যালয়টি আওয়ামী লীগ নেতা সরোয়ার হোসেন ও তার সহযোগীদের দখলে সহায়তা করেন। দখল পাকাপোক্ত করতে এসময় পরিচালক সাহাবুদ্দিন ও রুস্তম আলীর বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় মামলা রয়েছে বলে উল্লেখ করে তাদের মারধর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যান। পরবর্তীতে ধানমন্ডি থানার দায়ের করা মামলা নম্বর ৭ (৮)২৪ তারিখ ২৬/৮/২০২৪ একই ঘটনায় দায়ের হওয়া হাজারিবাগ থানার মামলা নম্বর ১২(৮)২৪ তারিখ ৩০/৮/২০২৪ এর তদন্ত কর্মকর্তা শাহ নেওয়াজ সজল রাব্বির কাছে সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ সমিতির দুই পরিচালককে হস্তান্তর করেন। হাজারীবাগ থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার হওয়া সাহাবুদ্দিন ও রুস্তম আলীকে আদালতে উপস্থাপন করলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে হাজারীবাগ থানার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে গ্রেপ্তার হওয়া রুস্তম আলীর মেয়ে হাজারীবাগ থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ নেওয়াজ সজল রাব্বির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ডিবির সাব-ইন্সপেক্টর ইমরুল ফাহাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরার্মশ দেন। রুস্তম আলীর মেয়ে মাহিন জাহান গত ১ অক্টোবর ৩ টা ৪০ মিনিটে তার মোবাইল নং ০১৯৫৮৪৩৮০৬৬ থেকে ইমরুল ফাহাদের ০১৭১১০২৪৪৩৭ নম্বরে ফোন দিলে ৫টার দিকে মিন্টু রোডের ডিবি অফিসে দেখা করতে বলেন। বিকাল ৫টা ০৯ মিনিটে ইমরুল ফাহাদকে ফোন দিলে ১০/১৫ মিনিট পর তার সহযোগী পরিচয়ে ইরফান নামে এক ব্যক্তি দেখা করেন পলির সঙ্গে এবং ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। অন্যথায় বেশ কিছু হত্যা মামলায় তার পিতাকে শ্যোন এরেস্ট দেখানো হবে বলে হুমকি দেন। এই অবস্থায় পলি তার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানাবে বলে ডিবি অফিস থেকে বাসায় ফিরে আসেন। পরদিন ২ অক্টোবর দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে ইরফান ০১৩১০৯৭৯৮৬৫ থেকে রুস্তম আলীর মেয়ের ০১৯৫৮৪৩৮০৬৬ নম্বরে ফোন দেন এবং দাবি ৫ লাখ টাকা যোগাড় হয়েছে কিনা জানতে চান। মাহিন জাহান পলি তাদের কাছে এত টাকা নেই বলে জানান। ফলশ্রুতিতে ডিবির সাব-ইন্সপেক্টর ইমরুল ফাহাদ বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলার এজাহারে নাম না থাকার পরও সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ সমিতির দুই পরিচালক মুহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও রুস্তম আলীকে ‘শ্যোন এরেস্ট’ দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করেন।
অভিযোগের বিষয়ে ডিবির সাব-ইন্সপেক্টর ইমরুল ফাহাদ বলেন, সাহাবুদ্দিন ও রুস্তম আলীকে তিনি গ্রেপ্তার করেননি। ডিবির ওয়ারি টিম তাদের গ্রেপ্তার করে হাজারিবাগ থানায় হস্তান্তর করেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আওয়ামী লীগ নেতা হিসাবে তিনি শুধু গ্রেপ্তারকৃতদের তার তদন্তে থাকা বাড্ডা থানার একটি মামলায় শ্যোন এরেস্ট দেখিয়েছেন। এই বিষয়ে তার কোনো তথ্য প্রমাণ আছে কিনা জানতে চাইলে ইমরুল ফাহাদ বলেন বিষয়টি তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইমরুল বলেন, হাজারীবাগ থানায় দায়ের করা মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হলে তার মামলা থেকেও আসামীরা খালাস পাবেন।
আওয়ামী লীগ নেতা কালা সরওয়ারকে সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ সমিতি দখল করিয়ে দেয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি’র এসআই ইমরুল ফাহাদ বলেন, এই অভিযোগ সত্য নয়। যারা সমিতি দখল করেছে, তারা বিএনপির লোক বলে দাবি করেন। আসামী রুস্তম আলীর মেয়ে মাহিন জাহান পলিকে ডেকে নিয়ে বাড্ডা থানার মামলায় শ্যোন এরেস্ট না দেখাতে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেন ডিবির সাব-ইন্সপেক্টর ইমরুল ফাহাদ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাজারীবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে আমরা মামলাটি নিয়েছিলাম। এ ঘটনায় আগে মামলা হয়েছে জানতাম না। আমরা ভিকটিমের বাবাকে ডেকেছি, তার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনিও ওই মামলা সম্পর্কে আগে থেকে কিছু জানতেন না। মামলার বাদী মাছুম বিল্লাহকেও তিনি চেনেন না।’
ডিবির করিৎকর্মা সাব-ইন্সপেক্টর ইমরুল ফাহাদের বিরুদ্ধে স্বরাস্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি, ডিএমপি পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন হাজারীবাগ থানার মিথ্যা মামলার আসামী সাপ্তাহিক ফ্রাইডে রিভিউ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এ রাজ্জাক। তার দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের করা তদন্ত কমিটি তাকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ডেকে ছিলেন। কিন্তু গ্রেপ্তার হতে পারেন এমন শঙ্কা থেকে তিনি সাক্ষ্য প্রদান করতে যাননি।
হাজারীবাগ থানায় দায়ের করা ভুয়া মামলা ১২(৮)২৪ তারিখ ৩০/৮/২০২৪ এর আসামী ও হকার্স কল্যাণ সমিতির পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এ রাজ্জাক জানান, তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ নভেম্বর ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছে লেখা এক পত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. মফিদুল ইসলাম বীর মুক্তিযোদ্ধার মামলা প্রত্যাহারের আবেদনটি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ রাজ্জাক দাবি করেছেন এসআই ইমরুল ফাহাদ এবং ডিবি’র কতিপয় পুলিশের সহযোগীতায় দক্ষিণখানের আওয়ামী লীগ নেতা সরওয়ার হোসেন গং সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ সমিতি লিমিটেড দখল করে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে তার কাছে তথ্য প্রমাণ সংরক্ষিত রয়েছে উল্লেখ করে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, অথচ দখলকারিরা রাতারাতি বিএনপি নেতা বনে গেছেন। এম. এ রাজ্জাক অভিযোগ করেন, কতিপয় ব্যক্তি ও অসাধু পুলিশের যোগসাজসে মিথ্যা মামলা পরবর্তীতে অন্য মামলায় শ্যোন এরেস্ট দেখিয়ে মামলা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং জনগণের কাছে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ভুল বার্তা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনারের বারবার সর্তকতার পরও ইমরুল ফাহাদের মতো অসাধু পুলিশ, আওয়ামী লীগ নেতা কালা সরওয়ারের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। একই সঙ্গে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ সমিতির দুই পরিচালক সাহাবুদ্দিন ও রুস্তম আলীর দ্রুত মুক্তির দাবি জানান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানি করার সুযোগ নেই। তদন্ত না করে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তদন্ত কর্মকর্তা যদি তদন্ত করে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পায় তবেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি কেউ যদি ভূয়া বা হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলা করেন তাহলে বাদীর বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।’
বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি (বিএনএ) এর অনুসন্ধান টিম জানতে পেরেছে, হাজারীবাগ থানায় সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ সমিতির পরিচালক, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, দুইজনকে গ্রেপ্তার, পরবর্তীতে বাড্ডা থানায় শ্যোন এরেস্ট, সমিতি দখলের নীল নকশা পুরোটার সঙ্গে জড়িত ডিবির সাব ইন্সপেক্টর ইমরুল ফাহাদ। তার সঙ্গে মোটা অংকের চুক্তি হয়েছে উত্তরা থানার দক্ষিণ খানের আওয়ামী লীগ নেতা সরওয়ার হোসেন প্রকাশ কালা সরওয়ারের। তার ফেসবুক এবং বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত ছবি ও তথ্য বিএনএ’র অনুসন্ধান টিমের হাতে রয়েছে। এইসব ছবি ও তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় কালা সরওয়ার এক যুগেরও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
এই ব্যাপারে কালা সরওয়ারের বক্তব্য জানতে সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ সমিতি লিমিটেডে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলেও তিনি সাড়া দেননি।
বিএনএনিউজ/ শাম্মী/এইচমুন্নী