বিএনএ, (আদালত প্রতিবেদক) ঢাকা: ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপির-নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে দিনে-দুপুরে খুন হন বিশ্বজিৎ দাস। তাকে নির্মমভাবে হত্যার দৃশ্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। আসামিরা সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কথিত ছাত্রলীগ কর্মী।
ওই হত্যাকাণ্ডের এক বছর পর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার রায়ে ২১ আসামির মধ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়। আসামিরা সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কথিত ছাত্রলীগ কর্মী। ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট মামলায় ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। চারজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও দুইজনকে খালাস দেন।এছাড়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আপিলকারী দুজনকে খালাস দেওয়া হয়।কিন্তু যাবজ্জীবন পাওয়া আসামিরা কেউ দেশের বাহিরে আবার কেউ দেশেই অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
বিশ্বজিৎ দাসের ভাই উত্তম কুমার দাস বলেন,৯ বছরেও আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার কেনো পেলাম না জানি না।
এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন বলেন, কোর্ট যদি কাল এই মামলার শুনানি করবে বললে আমরা কালই প্রস্তুত আছি।কিন্তু কোর্ট নতুন কোন মামলা নিচ্ছে না।এই মামলা সিরিয়াল অনুযায়ী আসলেই শুনানি হবে।
২০০৬ সাল থেকে ঢাকার শাঁখারিবাজারে দর্জির কাজ করতেন বিশ্বজিৎ। দোকানের নাম ছিল নিউ আমন্ত্রণ টেইলার্স। বড় ভাইয়ের দোকান। নিহত বিশ্বজিৎ দাসের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর দাসপাড়া গ্রামে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্বজিতের স্থানীয় এক আত্মীয় বলেন, ঘটনার পর থেকে আমরা সব সময় আতঙ্কের মধ্যে আছি। আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। আপিল বিভাগের রায়ে আশা করি সব আসামি শাস্তি পাবে।
বিএনএনিউজ/ এসবি, এমএফ