বিএনএ ডেস্ক: ফ্রান্স সফরের প্রথম দিনে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) প্যারিসের এলিসি প্রাসাদে এই বৈঠক হবে। দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকে ঢাকা-প্যারিসের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে নতুন দিকনির্দেশনা আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক ও লেটার অব ইনটেন্ট সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাশাপাশি দেশটির প্রধানমন্ত্রী জঁ কাসতেক্সের সঙ্গে বৈঠক করবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ ইভস লো দ্রিখাঁ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লের সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
বুধবার (১০ নভেম্বর) ফরাসি পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ সিনেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেদেশটির শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সংগঠন মেডেফের একটি প্রতিনিধি দল। এর পাশাপাশি এয়ারবাস ও থ্যালাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) ইউনেস্কোর ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে একটি উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে অংশগ্রহণের জন্য ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ উচ্চ পর্যায়ের সভায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বজনীন আদর্শ তুলে ধরবেন তিনি। ইউনেস্কোয় ‘বঙ্গবন্ধু’ আন্তর্জাতিক পুরস্কার হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ফ্রান্সের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য এ সফর খুব গুরুত্ব বহন করছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, সামনের দিনগুলোয় দুই দেশের রূপরেখা নিয়ে থাকতে পারে নতুন দিকনির্দেশনা। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসহ দেশটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সংস্থার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হবে। এ সফরে বেশ কিছু চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ইউনেস্কো সদর দফতরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনএনিউজ/আরকেসি