26 C
আবহাওয়া
১১:৫২ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ১৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৫৭ (কুমিল্লা-৯)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৫৭ (কুমিল্লা-৯)


বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে কুমিল্লা-৯ আসনের হালচাল।

কুমিল্লা – ৯ আসন 

কুমিল্লা-৯ সংসদীয় আসনটি লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ২৫৭ তম আসন।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনিরুল হক চৌধুরী বিজয়ী হন

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬ শত ১১ জন। ভোট প্রদান করেন ৯১ হাজার ৬ জন। নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনিরুল হক চৌধুরী বিজয়ী হন। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পান ৪২ হাজার ৭ শত ৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের আবুল কালাম মজুমদার । নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৩৪ হাজার ৬ শত ১২ ভোট ।

ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: বিএনপির আমিন উর রশিদ (ইয়াছিন) কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি,ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এই নির্বাচনে বিএনপির আমিন উর রশিদ (ইয়াছিন) কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের আ হ ম মুস্তফা বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬ শত ২১ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ১১ হাজার ৫ শত ৩৫ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আ হ ম মুস্তফা বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৫৭ হাজার ১ শত ৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয পার্টির মনিরুল হক চৌধুরী । লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পান ৪৭ হাজার ৫ শত ৭০ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির মনিরুল হক চৌধুরী বিজয়ী হন

২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ১৮ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪ শত ৬৪ জন। নির্বাচনে বিএনপির মনিরুল হক চৌধুরী বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৭৮ হাজার ৬ শত ২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের আ হ ম মুস্তফা । নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৬৬ হাজার ১ শত ৭৫ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মো: তাজুল ইসলাম বিজয়ী হন 

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩ শত ৫৭ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৪৩ হাজার ৩ শত ২৪ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মো: তাজুল ইসলাম বিজয়ী হন । নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ১৭ হাজার ৭ শত ৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির এম আনোয়ারুল আজিম। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ১৭ হাজার ২ শত ৯০ ভোট।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মো: তাজুল ইসলাম বিজয়ী হন 

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৮৩ হাজার ২ শত ৯৪ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭ শত ১৪ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মো: তাজুল ইসলাম বিজয়ী হন । নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৬৩ হাজার ১ শত ৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির গোলাম মোস্তফা কামাল। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পান ১২ হাজার ১ শত ৯২ ভোট।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে র্নিবাচনের দাবিতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মো: তাজুল ইসলাম বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৬১ হাজার ৯ শত ৫৭ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৯৬ হাজার ৩ শত ৯১ জন।

নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মো: তাজুল ইসলাম, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির এম আনোয়ারুল আজিম, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সেলিম মাহামুদ, হারিকেন প্রতীকে মুসলীম লীগের আব্দুল আউয়াল, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির টিপু সুলতান, চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবু বকর সিদ্দিক এবং মটরগাড়ী প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ টি এম আলমগীর প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মো: তাজুল ইসলাম বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২ লাখ ৭০ হাজার ৬ শত ২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির এম আনোয়ারুল আজিম। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ১১ হাজার ৩ শত ৯ ভোট।

কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পঞ্চম সংসদে জাতীয় পার্টি, ষষ্ঠ ও অষ্টম সংসদে বিএনপি এবং সপ্তম, নবম , দশম ও একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর কুমিল্লা-৯ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ,বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, কুমিল্লা-৯ সংসদীয় আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৫৪.৯৫% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৮.০৩%, বিএনপি ১১.০১%, জাতীয় পাটি ৪৬.৯৭%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৩.৯৯% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭৬.০৭% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৫১.২৮%, বিএনপি ২.৭০% জাতীয় পাটি ৪২.৬৫%, জামায়াত ইসলামী ২.৩৩% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.০৪% ভোট পায়।
২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭৫.১০% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪৫.১৮%, ৪ দলীয় জোট ৫৩.৬৮%, জাতীয় পাটি ০.৩৪%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.৮০% ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮৬.৭০% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৪৯.০৮%, ৪ দলীয় জোট ৪৮.৮৯% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ২.০৩% ভোট পায়।

কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের মো. তাজুল ইসলাম। তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তার মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিত। এ ছাড়াও মনোনয়ন চাইবেন লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউনুস ভুইয়া, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য দেলোয়ার হোসেন ফারুক।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২০০১ সালে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল এম আনোয়ার-উল আজিম। বিএনপির কেন্দ্রীয় শিল্পবিষয়ক সম্পাদক ও লাকসাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম ওরফে চৈতী। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক একটি পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক শফিকুর রহমান সফিক মনোনয়ন চাইবেন।

২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াত ইসলামী সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সরওয়ার উদ্দিন ছিদ্দিকী জোট থেকে মনোনয়ন চাইবেন।

জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইবেন জাতীয় পার্টি লাকসাম উপজেলার সভাপতি প্রফেসর ড. গোলাম মোস্তফা।
নির্বাচনী ভাবনায়, মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, এই আসনে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠন সাংগঠনিকভাবে সুসংগঠিত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লাকসাম-মনোহরগঞ্জে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ও শক্ত অবস্থানে আছে। দলে কোনো গ্রুপিং নেই। তিনি এবারও দলের মনোনয়ন চাইবেন এবং এ আসনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের ধারা অক্ষুন্ন থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

নির্বাচনী ভাবনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় শিল্পবিষয়ক সম্পাদক ও লাকসাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম ওরফে চৈতী কালাম বলেন, দুঃসময়েও তিনি নেতাকর্মীদের ছেড়ে যাননি। সব সময় মাঠে ছিলেন।এবার দল যদি নির্বাচনে যায়, তাহলে মনোনয়ন চাইবেন এবং। আসনটি পুনরুদ্ধারে সক্ষম হবেন।

তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, স্বাধীনতাত্তোর ১৯৭৩ সালের প্রথম থেকে সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ পর্যন্ত জাতীয় সংসদের ১১টি সাধারণ নির্বাচনে এখানে আওয়ামী লীগ পাঁচবার, বিএনপি চারবার ও জাতীয় পার্টি দুবার নির্বাচনে বিজয়ী হয়। এক সময় এই আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। নেতৃত্বে দ্বন্দ্বের কারণে এখানে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আসনটি বিএনপির হাতছাড়া হয়ে আওয়ামী লীগের ঘরে যায়। এই আসনে জামায়াত ইসলামীর ভোট ব্যাংক রয়েছে। যা বিএনপির বাক্স পূর্ণ করবে।

আসনটিতে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জলাঞ্চল বলে পরিচিত লাকসাম ও মনোহরগঞ্জের রাস্তাঘাট ও পুল-কালভার্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। দলকেও সু সংগঠিত করেছেন।

অভিযোগ আছে, তাজুল ইসলামের পারিবারিক ও ঘনিষ্ঠজনদের প্রভাবের কারণে দলে ত্যাগী নেতাকর্মীরা অবহেলিত। সেকারণে নেতাকর্মীদের একাংশের মধ্যে চাপা ক্ষোভ-অসন্তোষ রয়েছে। এছাড়া দুটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে পছন্দের প্রার্থীকে দলের মনোনয়নে বিনাভোটে নির্বাচিত করার বিষয়টি বেশ আলোচিত ও সমালোচিত হয়। এ নিয়ে দলের সম্ভাব্য অনেক প্রার্থী ও ভোটারের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ রয়েছে। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এসব কারণে দলের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এই আসনে আওয়ামী লীগের ভরসা ব্যাপক উন্নয়ন ও দলের তৃণমূল পর্যায়ের সাংগঠনিক শক্তি।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ২৫৭তম সংসদীয় আসন (কুমিল্লা-৯) আসনটিতে আওয়ামী লীগের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিএনএ/ শাম্মী, রেহানা, ওজি, ওয়াইএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ