বিএনএ,ইবি : করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধের পর খুলে দেওয়া হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলগুলো। । স্বাস্থ্যবিধি মেনে কমপক্ষে এক ডোজ টিকা এবং গণরুম ব্যতীত শুধুমাত্র আবাসিক শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
রোববার (৯ অক্টোবর) সকাল দশটা থেকে সারিবদ্ধভাবে একে একে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। হলগুলোর প্রধান ফটকে ফুল, চকলেট ও মাস্ক দিয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিচ্ছে স্ব স্ব হল কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে আবাসিক হলে গুলো ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা লাইন ধরে হলে ঢুকছেন। হলে প্রবেশের সময় চেক করা হচ্ছে তাদের শরীরের তাপমাত্রা এবং স্যানিটাইজেশন করেই তাদের রুমের চাবি নিয়ে প্রাথমিকভাবে পরিষ্কারের কাজ শেষ করেই রুমে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। এ সময়টুকু ওয়েটিং রুমে শিক্ষার্থীদের অপেক্ষামান রাখা হচ্ছে। এছাড়া হলগুলোতে প্রবেশ মুখে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশিকাও। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে হলের পানি, বিদ্যুৎ, টয়লেট, ডাইনিং নতুন ভাবে সচল করা হয়েছে। হলের আশেপাশের পরিষ্কারের কাজও চলমান। সংষ্কারের কাজ অসম্পূর্ণ থাকলেও আপাতত শিক্ষার্থীদের থাকার উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হল প্রভোস্টবৃন্দ।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও খালেদা জিয়া হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল বলেন, দীর্ঘ আঠারো মাস পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ আমরা হলগুলো খুলতে পেরেছি। এজন্য আমরা খুবই আনন্দিত। ১টি ডোজ টিকা ও শুধু মাত্র আবাসিক শিক্ষার্থীদের হলে উঠার জন্য অনুৃমতি রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি ও শরীরের তাপমাত্রা মেপে আমরা শিক্ষার্থীদের হলে তুলছি। হল খোলার প্রস্তুতি হিসেবে হল কর্তৃপক্ষ রুম পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন সহ সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।
গণরুম খোলার ব্যাপারে তিনি বলেন, আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গণরুম বন্ধ রাখা হয়েছে। কিছুদিন পর আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ও প্রভোস্ট কাউন্সিল বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম হল গুলো পরিদর্শন শেষে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় হল খোলার পর যেনো ফুলের বাগান পূর্ণতা পেয়েছে। এজন্য আমি খুবই আনন্দিত। আমি আমার সহকর্মীরা এবং শিক্ষার্থীরা সবাই যেন দায়িত্বশীল আচরণ করি এটাই আমার সবার কাছে আহ্বান।
তিনি আরো বলেন, এটি একটি প্রকৃতি সৃষ্ট ঘটনা, মানুষ সৃষ্ট কোন বিষয় না। তাই সবকিছু মেনে নিয়ে এই দেড় বছরের যে বিচ্ছিন্নতা ছিল, হল খোলার মাধ্যমে আমরা মূল স্রোতে ফিরে আসলাম।শিক্ষার্থীরা যাতে অচিরেই তাদের সব কার্যক্রম স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিক করতে পারে সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।”
বিএনএ/ তারিক, ওজি