বিএনএ ডেস্ক: চার বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন ৫৩ বাংলাদেশি শ্রমিক।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) ভোর ৫ টা ২২ মিনিটে ঢাকা থেকে ৫৩ জন কর্মী নিয়ে এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইট কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ১০টায় তারা কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার গোলাম সারোয়ার বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে তাদের স্বাগত জানান। এ সময়ে হাই কমিশনের শ্রম উইংয়ের মিনিস্টার নাজমুস সাদাত সেলিমসহ মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও দুই দেশের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত হাই কমিশনার গোলাম সারোয়ার বলেন, দু’দেশের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে উন্মুক্ত হলো শ্রমবাজার। মালয়েশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি নবাগত কর্মীদের আইনকানুন মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
গোলাম সারোয়ার বলেন, মালয়েশিয়ার সাথে কুটনৈতিক সম্পর্কের সূবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের নতুন মাইলফলক এটি। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন তথা বাংলাদেশ সরকারের নিবিড় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে অবশেষে ৪ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় নতুন শ্রমিক নিয়োগ শুরু হয়েছে।
মালয়েশিয়ার জিমাত জায়া নামে একটি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে এই কর্মীরা নিয়োগ লাভ করেছেন। মালয়েশিয়ার সরকারের নতুন বেতন কাঠোমো অনুযায়ী তারা প্রতিমাসে অন্তত ১৫০০ মালয়েশিয়ান রিংগিত অর্থাৎ বাংলাদেশী প্রায় ৩৭ হাজার টাকা বেতন পাবেন।
এছাড়া তারা মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ওভার টাইম, বিনামূল্যে বাসস্থান, স্বাস্থ্য বীমা, কর্মস্থলে দূর্ঘটনা জনিত বীমাসহ অন্যান্য সকল সুবিধা পাবেন।
দীর্ঘ চার বছরের অচলায়তন ভেঙ্গে মালয়েশিয়ার নতুন করে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ শুরু হওয়াতে হাই কমিশনার গোলাম সারোয়ার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে ও মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
আশা করা যাচ্ছে যে, আগামী তিন বছরের মধ্যে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের প্রায় ৫ লাখের বেশি নতুন লোকের কর্মসংস্থান হবে। এর মাধ্যমে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশের প্রেরিত মোট রেমিট্যান্স তিন বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে।
বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়া শ্রমবাজার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্মাণ, সেবা, কৃষি, পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশি শ্রমিকরা দক্ষতা ও সুনামের সাথে কাজ করে আসছেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে শ্রমিক নেয়ার বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
বিএনএ/এ আর
