বিএনএ, ঢাকা: প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দুর্নীতির মতো অতলবিস্তৃত ব্যাধি থেকে আমরা পুরোপুরি মুক্ত হতে পারিনি। আমাদের উন্নয়নের সুফলগুলো দুর্নীতির চোরাবালিতে তলিয়ে যাচ্ছে। আমাদের উজ্জ্বল অর্জনগুলো দুর্নীতির অন্ধকারে ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
সোমবার(৯ জুলাই) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘দুর্নীতি ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন সম্বন্ধে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্য’ শীর্ষক বঙ্গবন্ধু চেয়ার বক্তৃতায় প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, কেবল আইন দিয়ে সব সমস্যার সমাধান হয় না, দুর্নীতিরও হয় না। এজন্য দরকার সচেতনতা, সামাজিক আন্দোলন।এ দুর্নীতি আমাদের জন্য একদিকে যেমন কলঙ্কের, অপমানের, তেমনি বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায়। আমাদের সুবিচারবোধের উন্মেষের পথে বৃহত্তম প্রতিবন্ধক।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আরও বলেন, তরুণদের প্রশ্ন করতে হবে, তাদের পিতা-মাতার অর্জিত অর্থটা ন্যায়সংগত পথে এসেছে তো? স্ত্রীদের কৌতূহল থাকতে হবে, স্বামীর বিত্ত-বৈভবে অবৈধ অর্থের অংশ নেই তো? বন্ধু-পরিজনদের সচেতন হতে হবে, নিকটজনের উপার্জনটা সঠিক নিয়মে হচ্ছে তো? এটাই সামাজিক সচেতনতার প্রথম ধাপ। দুর্নীতিবাজ পিতাকে, দুর্নীতিবাজ স্বামী বা স্ত্রীকে, দুর্নীতিবাজ সহকর্মীকে একঘরে করা না গেলে, বয়কট করা না হলে কখনোই দুর্নীতির গভীর ক্ষত সেরে উঠবে না, এ রোগের উপশম হবে না।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আজকাল আমাদের ভয় হয়, দুশ্চিন্তা হয়, দুর্নীতি কেবল যে আমাদের উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত করছে তা নয়, দুর্নীতি আমাদের চিরায়ত সুন্দর মূল্যবোধগুলোকেও ধ্বংস করে দিচ্ছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ।
এসজিএন