বিএনএ,চট্টগ্রাম: সরকার ঘোষিত সপ্তাহব্যাপি চলমান কঠোর লকডাউনের নবম দিনে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় সরকারি বিধিনিষেধ না মেনে দোকান, রেস্টুরেন্ট ও শপিং মল খোলা রাখায় ৮০ মামলায় ২৮ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
শুক্রবার (৮ জুলাই) নগরীর চকবাজার, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, সদরঘাট, ডবলমুরিং, খুলশী, আকবরশাহ, বায়েজিদ, কোতোয়ালি, সদরঘাট, পাহাড়তলি, হালিশহর ও মুরাদপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এতে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোজাম্মেল হক চৌধুরী চকবাজার ও বাকলিয়া এলাকায় অভিযানে ১০টি মামলায় মোট ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। চান্দগাঁও এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনিক ৯ টি মামলায় ১ হাজার ৮০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। সদরঘাট ও ডবলমুরিং এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইনামুল হাছান ৬টি মামলায় ১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। ডবলমুরিং এলাকায় অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা ইসলাম ২ টি মামলায় ২০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী খুলশী ও আকবরশাহ এলাকায় ১২টি মামলায় ২ হাজার ৮০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। খুলশী ও বায়েজিদ এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হোসেন ৫ টি মামলায় ১ হাজার ১০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
অন্যদিকে চকবাজার ও বাকলিয়া এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৭ টি মামলায় ১ হাজার ৭০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিল্লুর রহমান। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরজাহান আক্তার সাথী কোতোয়ালি ও সদরঘাট এলাকায় ৫টি মামলায় ১ হাজার ৮০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। পাহাড়তলি এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তাহমিনা সারমিন ৪ টি মামলায় ১ হাজার ১০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। পাশাপাশি হালিশহর ও মুরাদপুর এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস ২টি মামলা দায়ের করে ২ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। চকবাজার এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত ১০টি মামলায় ৪ হাজার ৯০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। হালিশহর ও ডবলমুরিং এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৭ টি মামলায় ২ হাজার ২০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মুহাম্মদ।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বিস্তার রোধে নগরের বিভিন্ন স্থান নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিএনএনিউজ/মনির