বিএনএ ডেস্ক : গত ৮ এপ্রিল হবিগঞ্জ-৪ সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সায়েদুল হক যিনি ব্যারিস্টার সুমন হিসাবে ব্যাপক পরিচিত, তার ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে একজন সংসদ সদস্য কতটাকা বেতন পান তা উল্লেখ করে জাতীয় সংসদ থেকে পাওয়া বেতনসংক্রান্ত চিঠিসহ স্ট্যাটাস দেন। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ২৮ কোটি টাকা প্রকল্পের বরাদ্দ পেয়েছেন বলেও জানান। এর প্রায় একমাস পর গত ৭ মে জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে মুজিবুল হক, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের দিকে ইঙ্গিত করে তাকে তুলোধুনা করেন।
ফেসবুকে একজন নতুন সংসদ সদস্যের দেওয়া বক্তব্যের কারণে অন্য সংসদ সদস্যরা ভুক্তভোগী হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক। সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে নতুন ওই সংসদ সদস্যের দেওয়া বক্তব্যে বাকি ৩৪৯ জন সংসদ সদস্য সম্পর্কে ভুল বার্তা যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
স্পিকারকে উদ্দেশ্য করে মুজিবুল হক বলেন, সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করার জন্য কোনো সংসদ সদস্যের এমন কোনো কথা বলা উচিৎ নয়, যে কথায় প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারসহ ৩৪৯ জন এমপি সম্পর্কে ভুল বার্তা যাবে। বিষয়টা আপনি দেখতে পারেন। আমরা এখানে অনেক কথা বলব, বিতর্ক করব। এমন কথা বলবার অধিকার নেই, যাতে ৩৪৯ এমপির ইজ্জত যাবে। স্পীকারের কাছে সুমনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান।
ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন কেউ একগালে চড় মারলে, অন্যগাল বাড়িয়ে দেওয়ার লোক না! কথায় আছে, ইট ছুড়লে পাটকেল খেতে হয়। জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সেক্রেটারি মুজিবুল হক চুন্নুর বক্তব্যের জবাব দিতে না পারলেও গত ৮ মে সুপ্রীম কোর্টে গণমাধ্যমে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সায়েদুল হক সুমন বিরোধী দলের চীফ হুইপকে স্বৈোচার এরশাদের দোসর উল্লেখ করে এর কড়া জবাব দেন ।
সায়েদুল হক সুমন বলেন, ইতিমধ্যে চুন্নু সাহেবের চেয়ে বড় বড় সাহেবদের মোকাবেলা করেছেন। জনগণই হচ্ছে তার সাহস ও ভরসা। কাউকে ভয় পান না। জনগণকে জানানোর বিষয়ে তার চরিত্রের কোন পরিবর্তন হবে না বলেও জানান তিনি।
শামীমা চৌধুরী শাম্মী/এইচমুন্নী