।। রেহানা ইয়াছমিন ।।
বিএনএ, ঢাকা: রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ২৪ ঘন্টা মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।
গত সাতদিনের জরিপে দেখা যায়-
৩মে ২৯ জন গ্রেপ্তার, মামলা হয়েছে ১৮ টি।
৪মে ২৬ জন গ্রেপ্তার, মামলা হয়েছে ১৭ টি।
৫ মে ৩৩ জন গ্রেপ্তার, মামলা হয়েছে ৩১ টি।
৬ মে ৩০ জন গ্রেপ্তার, মামলা হয়েছে ২৪ টি।
৭ মে ২৬ জন গ্রেপ্তার, মামলা হয়েছে ১৯ টি।
৮ মে ২১ জন গ্রেপ্তার, মামলা হয়েছে ১৭ টি।
৯ মে ২৬ জন গ্রেপ্তার, মামলা হয়েছে ২২ টি।
তাদের কাছ থেকে ইয়াবা, পুরিয়া হিরোইন, গাজা, দেশী মদ, ফেনসিডিল ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়। মোট ১০৯ জনকে গ্রেপ্তার ও ১৪৮টি মামলা করা হয়েছে।
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, তদন্ত কার্যক্রম শেষ করার সময় ১০টি বিষয় মেনে চলতে ডিএমপির আট অপরাধ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিটকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মাদক মামলার আসামিদের যথাযথ সাজা না হওয়ার পেছনে অন্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- এজাহার দায়েরকারী ও তদন্ত করা পুলিশ কর্মকর্তা একই ব্যক্তি হওয়া; মাদক উদ্ধার মামলার ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় জব্দ তালিকায় ভাসমান ও অস্থায়ী ঠিকানার ব্যক্তিদের সাক্ষী করা; বর্তমানে প্রচলিত সাক্ষ্য আইনের বিধান অনুসারে জব্দ করা আলামত উদ্ধার অভিযান; তলব করা সাক্ষীদের সঠিক সময়ে আদালতে উপস্থাপন না করা ও রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার অভাব পরিলক্ষিত হওয়া ইত্যাদি।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, মাদকের মামলার জব্দ তালিকা, এজাহার ও তদন্তে এমন ত্রুটি থাকার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। ফলে মাদকদ্রব্য আইনের অধিকাংশ মামলায় আসামিরা খালাস পেয়ে যাচ্ছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, মাদক মামলায় আসামিদের সাজা না হওয়ার কারণ চিহ্নিত করে পুলিশের করণীয় নিয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মাদক মামলা হওয়ার আগে ও মামলা হওয়ার পর তদন্তকারী কর্মকর্তাদের এসব মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে মাদকের মামলায় আসামিদের সাজার হার বেড়ে যাবে। ফলে আসামিরা কারাগারে আটক থাকলে মাদকের সরবরাহ কমে যাবে।
বিএনএনিউজ/ বিএম