বিএনএ, ঢাকা: দেশের সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যা হলো ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যার ৬৮.৩৪ শতাংশ পল্লিতে এবং ৩১.৬৬ শতাংশ শহরে বাস করে।
রোববার (৯ এপ্রিল) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সভাকক্ষে পিইসি জরিপের আলোকে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর সমন্বয়কৃত জনসংখ্যা প্রকাশ করে পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্যব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পিইসিতে প্রাপ্ত ২.৭৫ শতাংশ এনসিইর (নেট কাভারেজ এরর) পরিপ্রেক্ষিতে ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন যোগ হয়ে দেশের সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জনে। সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যার ৬৮.৩৪ শতাংশ পল্লিতে এবং ৩১.৬৬ শতাংশ শহরে বাস করেন।
বিভাগভিত্তিক জনসংখ্যা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সবচেয়ে বড় বিভাগ ঢাকার গণনাকৃত জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ১০৭ জন, সমন্বয়কৃত জনসংখ্যা হলো ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯১৫ জন, যা দেশের মোট সমন্বয়কৃত জনসংখ্যার ২৬.৬৮ শতাংশ। সবচেয়ে কম জনসংখ্যা বরিশাল বিভাগে, মোট সমন্বয়কৃত জনসংখ্যার ৫.৪৯ শতাংশ। প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে পুরুষের সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারী ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের সংখ্যা ১২ হাজার ৬২৯ জন। নতুন জরিপ অনুসারে পুরুষের এনসিই ২.৮১ শতাংশ, সে হিসাবে সমন্বয়কৃত পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার ২০৩ জন, নারীর এনসিই ২.৬৯ শতাংশ, সে হিসাবে সমন্বয়কৃত নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২০ জন। তৃতীয় লিঙ্গের জনসংখ্যা খুব কম হওয়ায় তার এনসিই হিসাব করা হয়নি।
এ ছাড়াও জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এ ১৭ হাজার ৫০৭টি খানার ৮৫ হাজার ৯৫৭ জনের আংশিক তথ্য পাওয়া গেছে, যাদের লিঙ্গসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি শুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই জনসংখ্যারও এনসিই হিসাব করা সম্ভব হয়নি বিধায় তাদের ব্যালান্স পপুলেশন হিসেবে গণনাকৃত ও সমন্বয়কৃত উভয় অংশে যোগ করা হয়েছে।
বিএনএ/এমএফ