বিএনএ, ঢাকা: নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা তালাত মাহমুদ সায়েনকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এসময় তার কাছ থেকে সরকারবিরোধী ২৩টি লিফলেট, ৩টি উগ্রবাদী বই, ১টি কম্পিউটার (১টি সিপিইউ ও ১টি মনিটর) ও ২টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার (৯ এপ্রিল) সকালে র্যাব-২-এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার তালাত মাহমুদ সায়েন সংগঠনটির শীর্ষ নেতা এবং সংগঠনে দাওয়াতি বিভাগের অন্যতম সদস্য। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার নওশাদ রেজার ছেলে। তালাত মাহমুদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা রয়েছে। মামলার রায়ে আদালত তাকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময়ও সে পলাতক ছিল।
র্যাব-২-এর সিও জানান, তালাত মাহমুদ হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ জঙ্গি নেতা এবং দাওয়াতি বিভাগের অন্যতম দায়িত্বশীল সদস্য। হিযবুত তাহরীরের সাংগঠনিক কার্যক্রম প্রচারের নিমিত্তে জঙ্গিবাদী লিফলেট ও পোস্টার বিতরণের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদ্রাসা-স্কুলের মেধাবী ছাত্র তথা তরুণ প্রজন্ম ও সাধারণ জনগণকে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত করতে উৎসাহিত করে থাকে। ২০১৫ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল তালাত মাহমুদ। জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে থেকে দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে।
জিজ্ঞাসাবাদে তালাত মাহমুদ জানায়, সে রাজধানীর একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০৮ সালে এসএসসি এবং ২০১০ সালে এইচএসসি পাস করে। ছাত্রজীবন থেকে হিযবুত তাহরীর সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয় সে।
২০১৫ সালে গ্রেপ্তার হয়ে মামলায় এক বছর জেল খাটার পর জামিনে বের হয় তালাত। ২০১৬ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে নিজেকে আত্মগোপনে রাখার জন্য মালয়েশিয়াতে চলে যায়। মালয়েশিয়া দুই বছর থেকে ২০১৮ সালে দেশে ফিরে এসে পুনরায় হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে জড়িয়ে পরে। হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে থাকায় সরকার বিরোধী লিফলেট ও উগ্রবাদী বই প্রচার ও তরুণ প্রজন্মকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করে আসছিল তালাত মাহমুদ। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বিএনএ/এমএফ