বিএনএ, ঢাকা: ইতিহাস বিকৃতি, মিথ্যাচার এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কারণে রাষ্ট্র আজ হুমকির সম্মুখীন। ভবিষ্যতে কি হবে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
রোববার (৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উত্থাপিত প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এই দাবি করেন। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন অধিবেশনের সভাপত্বিত করেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের শাস্তির জন্য এবং দেশকে একটা সেফ গার্ড দেয়ার জন্য ইতিহাস বিকৃতকারীদের ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে মিথ্যাচারকারীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে শাস্তি দিতে এই আইন পাস করা প্রয়োজন।
মোজাম্মেল হক বলেন, ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ঘাতকরা শুধু একটা মানুষকে হত্যা করেনি, তারা একটি স্বাধীন সংসদ নয়, একটা জাতিকে হত্যা করেছিল। বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পদদলিত করেছিল। এসব ঘটনা চোখ মেলে দেখা দরকার, তা না হলে বারবার আমাদের হোঁচট খেতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭২ এর সংবিধানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ পরিচালনার জন্য যা যা দরকার লিখে দিয়ে গেছেন। সেভাবে দেশ পরিচালনার জন্য জাতীয় সংসদকে রাষ্ট্রপরিচালনার কেন্দ্রবিন্দু করতে হবে। যারা জাতীয় সংসদ এবং দেশকে অকার্যকর করার জন্য ইতিহাস বিকৃত, মিথ্যাচার করে দেশে বিদেশ ষড়যন্ত্র করছে। তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, বিএনপির জেনারেল সেক্রেটারি মির্জা ফখরুল কয়েকদিন আগের বলেছেন, পাকিস্তান আমল ভালো ছিল। এরাই মুক্তিযুদ্ধকে বির্তকিত করছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতহাস সংবিধান থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। এই ষড়যন্ত্রকারীরা সংসদ অকার্যকর করার জন্য, দেশ অস্থিতিশীল করতে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে।
বিএনএ/এমএফ