বিএনএ, টেকনাফ : সারাদিন সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শোনা না গেলেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে মিয়ানমারের ওপারে শুরু হয় ফের গোলাগুলি। থেমে থেমে গোলাগুলি চলে টেকনাফ উপজেলার উনচিপ্রাং সীমান্তের ওপারে। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে উখিয়ার পালংখালীর আনজুমান পাড়ায় স্থানীয়রা একটি গ্রেনেড দেখতে পেয়ে খবর দেয় বিজিবিকে। বিকেলের দিকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করেন বিজিবি।
অন্যদিকে ঘুমধুম সীমান্তের নয়াপাড়ায় শিশুরা খেলতে গিয়ে একটি মর্টারশেল দেখতে পান।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সারাদিন ঘুমধুম সীমান্তের নয়াপাড়ায় গোলাগুলির শব্দ না থাকলেও খেলতে গিয়ে শিশুরা একটি মর্টারশেল দেখতে পায়। একপর্যায়ে শিশুরা এই মর্টারশেল নিয়ে খেলা করে। পরে বিষয়টি স্থানীয়দের চোখে পড়লে মর্টারশেলের কাছে না যেতে শিশুদের সতর্ক করেন এবং বিজিবিকে খবর দেয়। বিজিবি এসে সেটিও উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
টেকনাফ উনচিপ্রাং সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা আমির হামজা ও আব্দুল খালেক বলেন, বৃহস্পতিবার সারাদিন গোলাগুলির শব্দ শুনা যায়নি। তবে সন্ধ্যা নাগাদ মিয়ানমারের ওপারে বেশ কয়েকটি গুলির আওয়াজ শুনা যায়। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
তারা আরও জানান, আতংকের কারণে সীমান্ত এলাকায় কাজেও বের হতে পারছি না। ভয় অনুভব হচ্ছে খুব। ঘর রেখে অন্য কোথাও চলে যেতে পারছি না। রাতে ও ভোরে গোলাগুলি শুনতে পায় তবে সারাদিন কোন গোলাগুলির শব্দ শুনিনি।
উখিয়া পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার সারাদিন গোলাগুলির শব্দ শুনা যায়নি। তবে সীমান্ত এলাকায় মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
কক্সবাজার-৩৪ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল আশরোকি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া ১০০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যকে টেকনাফের হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
নতুন করে বৃহস্পতিবার বিকেলে উলুবনিয়া সীমান্ত দিয়ে আরো ২ জন মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশে চলে এসেছিল। এ পর্যন্ত ৩৩০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
বিএনএ/ এইচএম ফরিদুল আলম শাহীন , ওজি/ হাসনা