বিএনএ,ঢাকা:ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার ৯ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে(১১ ফেব্রুয়ারি)বৃহস্পতিবার।মঙ্গলবার(০৯ ফেব্রুয়ারি)রায়ের জন্য এই দিন ঠিক করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।এর আগে গত বছরের ২৬শে জানুয়ারি মামলাটি রায়ের অপেক্ষায় রেখেছিল ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান ও রেজিয়া সুলতানা চমন।আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস শুকুর খান ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন অপেক্ষায় থাকার পর মামলাটি রায়ের জন্য তারিখ ঠিক করেছে ট্রাইব্যুনাল।১১ ফেব্রুয়ারি মামলাটির রায় ঘোষণা করা হবে। রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
২০১৮ সালের ৪ মার্চ চারটি অভিযোগে ময়মনসিংহের ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিল ট্রাইব্যুনাল।বিচার চলাকালীন মো. আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার (৬৮) ও নুরুল আমীন শাজাহান মারা যান।
তাদের মধ্যে গ্রেফতার আছেন-ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাধুয়া গ্রামের মো. খলিলুর রহমান মীর(৬২),একই গ্রামের মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম(৬৫),একই গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ (৬২), মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী (৭৪)। এছাড়া আসামি আব্দুল লতিফ স্বেচ্ছায় ট্রাইব্যুনালে হাজির হন। এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছেন- এএফএম ফায়জুল্লাহ, মো. আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল, সিরাজুল ইসলাম ও মো. আলীম উদ্দিন খান।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।এর মধ্যে রয়েছে চার জনকে হত্যা, ৯ জনকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাধুয়া গ্রাম ও টাঙ্গাব ইউনিয়নের রৌহা গ্রাম এলাকায় তারা এসব অপরাধ করেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে তদন্ত শুরু হয়।
বিএনএনিউজ/আরকেসি