15 C
আবহাওয়া
১১:০০ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ২০ জানুয়ারির পর ড. ইউনূস সরকার উৎখাত!

২০ জানুয়ারির পর ড. ইউনূস সরকার উৎখাত!


বিএনএ ডেস্ক : একেই বলে কথার দামামা। শনিবার রাজধানীর রাওয়া ক্লাবের সামনে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের এমন কথার দামামা শোনা গেছে।

ভারতের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারি আরেক কাঠি সরেস। তিনি হুমকি দিলেন অখন্ড ভারত গড়বেন। অর্থাৎ বাংলাদেশ পুরোটাই দখল করে নিবেন। শুধু তাই নয়- অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতের জন্য ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত হিন্দু ও মুক্তিযোদ্ধাদের অপেক্ষা করতে বললেন পশ্চিম বঙ্গের বিধান সভার বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারি।

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও উসকানিমূলক অপপ্রচারের প্রতিবাদে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে, রোববার প্রতিবাদী পদযাত্রা ও স্মারকলিপি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল।

তারা বলেছে, ‘ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনের উচ্ছৃঙ্খল সদস্যরা আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা করেছে। যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি অবমাননাকর। উচ্ছৃঙ্খল জনতা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করেছে, মিশনের সম্পদ বিনষ্ট করেছে। ভারত সরকার ভিয়েনা কনভেনশনের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী কূটনীতিকদের সুরক্ষা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

এদিকে আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবধিকার দিবসের দিন বাংলাদেশে ‘হিন্দু নিপীড়নের’ অভিযোগ তুলে, দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ – আরএসএস।

তারা ১০ ডিসেম্বর হাইকমিশন ঘেরাও করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। আরএসএসের দিল্লি শাখার গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনার সহপ্রধান রজনীশ জিন্দাল গত শুক্রবার দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলন করে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। একই দিন ‘সিভিল সোসাইটি অব দিল্লি’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে বাংলাদেশ হাইকমিশন ঘেরাও করার কর্মসূচী নিয়েছে।

রজনীশ জিন্দাল বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর ওপর অত্যাচারের ঘটনায় সারা ভারত ক্ষুব্ধ। ওই কর্মসূচিতে দেশের ২০০টির বেশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। বাংলাদেশ হাইকমিশনে তারা এক স্মারকলিপি পেশ করবেন।

স্মারকলিপি দেবেন জাতিসংঘ, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কাছেও। প্রত্যেককে বলা হবে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধে তারা ব্যবস্থা নিক।

প্রসঙ্গত, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে ‘ফরেন অফিস কনসালটেশন’-এর বৈঠকে যোগ দিতে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি ঢাকা আসছেন ৯ ডিসেম্বর। এই সময় দুই দেশের বিভিন্ন সংগঠনের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী ঘোষণা নিশ্চিতভাবেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফরের ওপর ছায়া ফেলবে।

বাংলাদেশ- ভারতের বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতারা যখন পরস্পরের বিরুদ্ধে কথার কামান দাগাচ্ছেন, তখন শনিবার মুম্বাই পুলিশের হোয়াট্‌সঅ্যাপে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বোমা মেরে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ওই বার্তায় পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের নাম উল্লেখ রয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে এক অস্থির পরিবেশ বিরাজ করছে।

বিএনএ/সৈয়দ সাকিব,ওজি/এইচমুন্নী

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ