বিএনএ, চট্টগ্রাম: মরহুম সাংবাদিক মাহবুব উল আলম একাধারে ছিলেন দেশপ্রেমিক, সৎ, নিষ্ঠাবান ও সত্যের বার্তাবাহক। তিনি যা দেখেছেন, নিজে যা শুনেছেন তাই লিখে যেতেন। সত্য প্রকাশে সবসময় নির্ভয়ে এগিয়ে যেতেন। তারমত গুণী সাংবাদিক বর্তমান সমাজে বিরল।
দৈনিক আজাদীর সহকারী সম্পাদক চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সাবেক চেয়ারম্যান বর্ষীয়ান সাংবাদিক কলামিস্ট মাহবুব উল আলম স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা এ সব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানাধীন সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটি পরিচালনা কমিটির উদ্যেগে গত ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ সোসাইটির অফিস প্রাঙ্গনে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সোসাইটি পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাংবাদিক এডভোকেট সুখময় চক্রবর্তী।
সাংবাদিক মাহবুব উল আলম এর জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা,দিক নিয়ে সহকর্মী সাংবাদিক ও পরিবারের সদস্যরা স্মৃতিচারণ করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ডেইলি পিপলস ভিউ’র সম্পাদক ওসমান গণি মনসুর চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেসক্লাবে মাহবুব উল আলম এর দক্ষ নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, তিনি ছিলেন একেবারে নম্র ভদ্র কিন্ত স্পষ্টভাষী মানুষ। তাঁর মধ্যে অর্থবিত্ত বা খ্যাতির লোভ ছিল না। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি বহুবিষয়ে গবেষণা করেছেন। লিখেছেন অনেক বই।
তিনি বলেন, মাহবুব উল আলম একাধারে ছিলেন দেশপ্রেমিক, সৎ, নিষ্ঠাবান ও সত্যের প্রচারক। তিনি যা দেখেছেন, নিজে যা শুনেছেন তাই লিখে যেতেন। সত্য প্রকাশে সবসময় নির্ভয়ে এগিয়ে যেতেন। তারমত গুণী সাংবাদিক বর্তমান সমাজে বিরল।
স্মরণ সভায় প্রবীণ সাংবাদিক শামসুল হক হায়দরী বলেন, সাংবাদিকদের যে কোন সংকট ও সম্ভাবনায় মরহুম সাংবাদিক মাহবুব উল আলম ছিলেন সবার কেন্দ্রবিন্দু। সবাই তাঁর কাছে ছুটে যেতেন। জীবনের শেষ সময়ে সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। যার বদৌলতে আজকের এই সুন্দর সোসাইটি আমরা পেয়েছি।
সাংবাদিক শহীদ উল আলম বলেন, সাংবাদিক মাহবুব উল আলম ছিলেন দেশের অন্যতম সেরা কলামিস্ট। দেশজুড়ে ছিল তার লেখার খ্যাতি। তিনি খুব সাদাসিধে জীবন যাপন করে গেছেন। বিলাসিতাকে অপচয় মনে করতেন। তার মৃত্যুতে চট্টগ্রামবাসী একজন দেশপ্রেমিক সাংবাদিককে হারালো।
সাপ্তাহিক স্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির বলেন, দেশ ও জাতির যে কোন সংকটে মরহুম মাহবুব উল আলম তাঁর ব্যক্তিগত সম্পাদনায় প্রকাশিত সাপ্তাহিক খতিয়ান ম্যাগাজিনে নানা দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ তুলে ধরতেন। তিনি ছিলেন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর একজন প্রকৃত অনুসারি। তার সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল অসাধারণ।
স্মরণসভায় চট্টগ্রাম আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী, প্রবীণ সাংবাদিক ইসকান্দর আলী চৌধুরী, সাংবাদিক সালাউদ্দিন মো. রেজা, সাংবাদিক সিরাজুল করিম মানিক, সাংবাদিক দেব দুলাল ভৌমিক, সাংবাদিক ম. শামসুল ইসলাম, সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন শ্যামল, সাংবাদিক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সাংবাদিক বাবুল কান্তি চৌধুরী, সাংবাদিক শতদল বড়ুয়া, সাংবাদিক হাসান আকবর, সাংবাদিক মোহাম্মদ ইব্রাহিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ আল্ ফোরকান, হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্ট এর মহাসচিব অধ্যাপক এ.ওয়াই.এম জাফর, সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটি পরিচালনা কমিটির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ ইরফান রেজা খান, মোহাম্মদ জামিল আকতার রিদ্দী, ব্যাংকার সরওয়ার কবির চৌধুরী, মরহুম সাংবাদিক মাহবুব উল আলম এর মেজ ভাই অধ্যাপক মাহমুদুল আলম, সেজ ভাই অধ্যাপক জহুরুল আলম, মরহুমের একমাত্র পুত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ জিবরান আলম বক্তব্য রাখেন।
স্মরণসভা সঞ্চালনায় ছিলেন সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটি পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নওশাদ চৌধুরী।
মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় অনুষ্ঠান শেষে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন সোসাইটি মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ রাশেদুল হাছান কাদেরী, শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন নায়েবে ইমাম হাফেজ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
বিএনএনিউজ২৪,এসজিএন