বিএনএ, ঢাকা: গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ১ হাজার ৯১২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বুধবার (৮ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে এক হাজার ৯১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকাতে ৩৫৯ জন এবং সারাদেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) এক হাজার ৫৫৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট দুই হাজার ৪৭ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৪০০ জন এবং সারাদেশের (ঢাকায় ব্যতীত) বিভিন্ন হাসপাতালে থেকে এক হাজার ৬৪৭ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ছয় জন ঢাকাতে এবং একজন সারাদেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) মারা যান।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৪৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতে ৮৬০ জন এবং সারাদেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) ৫৮২ জন মারা যান।
চলতি বছরের আট নভেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৮৫ হাজার ৫০৫ জন। এর মধ্যে ঢাকাতে এক লক্ষ দুই হাজার ৩২০ জন ও সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) এক লাখ ৮৩ হাজার ১৮৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট দুই লাখ ৭৭ হাজার ৬৬০ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৯৯ হাজার ৭৯৫ জন এবং সারা দেশের (ঢাকা সিটি ব্যতীত) বিভিন্ন হাসপাতাল এক লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৫ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পানিতে ডুবে প্রাণ গেল তিন শিশুর
বর্তমানে সারাদেশে মোট ছয় হাজার ৪১৩ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঢাকায় এক হাজার ৬৭৫ জন এবং সারাদেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) চার হাজার ৭৩৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এতে আরও বলা হয়, চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার হার শতকরা ৯৭ শতাংশ। হাসপাতালে ভর্তি থাকার হার ২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ।
গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২৮১ জন মারা যান।
বিএনএনিউজ/ বিএম