।। ডা. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ।।
বিএনএ, ঢাকা: বেসরকারি হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার মি. জাকির হোসেন পেশাগত কাজে মোটর সাইকেল, অটো, সিএনজি, রিক্সায় চলাফেরা করতে হয়। কোন আঘাত পাননি, অথচ একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিসে যাওয়ার উদ্যেশে কাপড় পড়ার সময় আর কোমড় সোজা করতে পারছেন না। পরিবারের দুই সদস্য মিলে তাকে বসানো হয়। বসা থেকে দাঁড়াতে গিয়ে পায়ের রগে টান পড়ছিল।
হাসপাতালে নিয়ে ব্যথার ওষুধ, ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর ব্যথা কিছুক্ষণ কম ছিল। আবার দুপুরের পর ব্যথা শুরু হয়। আবার ওষুধ ইঞ্জেকশন এভাবে পর দিন পর্যন্ত চলে। এক দিন পর হঠাৎ পা অবশ হতে শুরু করে। যদিও ব্যথা কিছু কম মনে হচ্ছিল। তাৎক্ষণিক তাকে আরেকটি বড় হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে MRI করানোর পর ওষুধ ও বিশ্রাম নিতে বলেন। এভাবে এক মাসেও ব্যথা কিছু কমলেও পায়ের অবশ ভাব বেড়েই যাচ্ছিল। হাঁটতে পারছিলেন না তিনি।
পা প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়ার ভয়ে আরেকটি হাসপাতালে যাওয়ার পর আরও দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগীর PLID থাকায় কেউ কেউ এপিডোরাল ইঞ্জেকশন ও অপারেশনের পরামর্শ দেন।
ইঞ্জেকশনের প্বার্শপ্রতিক্রিয়া এবং অপারেশনের রিস্ক মনে করে সাহস না পেয়ে বিকল্প চিকিৎসার সন্ধানে CPRC-তে আসেন। MRI এ দেখা গেল PLID এবং সায়াটিকা হয়ে যায়। CPRC-তে বিশ্রাম নিয়ে চিকিৎসা শুরুর অল্প কয়েক দিনেই অবস্থার উন্নতি হয়। দিনের পর দিন ব্যথার ওষুধ, স্টেরয়েড, মেরুদন্ডে এপিডুরাল ইঞ্জেকশন দিয়ে ব্যথা সাময়িক কমিয়ে রাখলেও মেরুদন্ডের সমস্যা সমাধান হয় না।
চিকিৎসা
সম্পূর্ণ বিশ্রামে রেখে রোগীকে আধুনিক রিহ্যাব চিকিৎসা শুরু করার পর ধাপে ধাপে রোগীর উন্নতি শুরু হয়।
দিনের পর দিন ব্যথার ওষুধ ব্যথা নিরাময়ে সমাধান হতে পারে না। এই ধরনের রোগীদের অপারেশনবিহীন রিহ্যাব চিকিৎসা করলে অধিকাংশ রোগী সুস্থ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সড়কে কচু গাছ লাগিয়ে ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ
বিএনএনিউজ/বিএম