23 C
আবহাওয়া
১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ১৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » হিরো আলমকে কান ধরে উঠবস ও বেধড়ক মারধর বিএনপি’র

হিরো আলমকে কান ধরে উঠবস ও বেধড়ক মারধর বিএনপি’র


২০২৩ সালের ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপ নির্বাচেনের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। তার প্রতিদ্বন্ধি ছিলেন সাবেক তথ্য ও সম্প্রাচার মন্ত্রী, বর্তমানে পলাতক মোহাম্মদ আলী আরাফাত। নির্বাচনের শেষ পর্যায়ে বিকালে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ করেন হিরো আলম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বেধড়ক মারধর করে। এই ঘটনায় বিএনপি নেতারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এমনকী ওই বছরের ১৭ জুলাই হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ১২টি দেশের দূতাবাস ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

YouTube player

এই ঘটনার এক বছর পর তারেক রহমানকে ব্যঙ্গ করার অভিযোগে বগুড়ায় আদালত চত্বরে আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে কান ধরে উঠবস করানোর পর বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।

রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে এ ঘটনা ঘটে ৷ এ ঘটনার জন্য হিরো আলম বিএনপির নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন।

জানা যায়, রোববার দুপুরে হিরো আলম, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রচারণার সময় মারধর ও ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একই আসনে উপ-নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ওবায়দুল কাদের, বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ৩৯ জনকে আসামি করা হয়।

মামলা দায়ের করার পর আদালত চত্বরে হিরো আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে মামলার বিষয়ে কথা বলার প্রস্তুতি নেন। এমন সময় কয়েকজন যুবক তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ এনে হিরো আলমের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। প্রথমে তারা হিরো আলমকে কান ধরে উঠ-বস করিয়ে ক্ষমা চাওয়ার পরে তারা সড়কে নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করেন।

মারধরের শিকার হওয়ার পর হিরো আলম বলেন, এক স্বৈরাচারের পতনের পর আরেক দল নিজেদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছে। এটা কি স্বাধীনতা? প্রকাশ্যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হলো। আমি কখনও তারেক জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করিনি।

ডিবির হারুন আমার পরিবারকে জিম্মি করে রিজভী সাহেবের বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছিল। এই কথা আগেও বলেছি। এরপরও আমাকে আদালতের মতো জায়গায় আপনাদের সামনে পেটানো হলো।

হিরো আলম বলেন, ‘আমি মামলা করে নিচে আসার পরে বিএনপির একটা দল আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাকে কান ধরিয়ে উঠ-বস করায়। এরপরে আমাকে কিল-ঘুষি মেরেছে মুখে ও মাথায়। বুকে ও শরীরের অন্য জায়গায়ও মারে। তাদের অভিযোগ, আমি নাকি কোন বক্তব্যে তারেক জিয়াকে গালিগালাজ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি কখনো তারেক রহমানকে গালিগালাজ করিনি। তাদের কাছে কোনো প্রমাণ থাকলে আমি আবার জুতার মালা গলায় দিয়ে ঘুরবো।’

হিরো আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিএনপি এখনো ক্ষমতা পায়নি। তার আগেই দেশজুড়ে অরাজকতা শুরু করেছে। আমরা আন্দোলন করে এক স্বৈরশাসক তাড়িয়েছি কি আর এক স্বৈরশাসককে ক্ষমতায় আনার জন্য? এমন প্রশ্ন করেন আলোচিত সমালোচিত ইউটিউবার হিরো আলম।

এ বিষয়ে বগুড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও বগুড়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছেত বলেন, ‘হিরো আলম মামলা করতে এসেছিলেন সরকারি লোকজন ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বিএনপির লোকজনের তাকে মারধর না করে বরং খুশি হওয়ার কথা’।

বিএনপির লোকজন তাকে মারেনি উল্লেখ করে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন ‘বিএনপির কোন্ লোকজন তাকে মেরেছে, কারো নাম বলতে পারবেন তিনি? আসলে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য এই অভিযোগ এনেছেন হিরো আলম। বিএনপির লোকজন তাকে মারেনি।’
বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা বলেন, ‘হিরো আলমের উপর যারা হামলা করেছে তারা দুর্বৃত্ত। তারা বিএনপির নেতা-কর্মী নয় বলে দাবি করেন তিনি।

শামীমা চৌধুরী শাম্মী

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ