28 C
আবহাওয়া
১০:০২ পূর্বাহ্ণ - মে ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-১৫৪ (ময়মনসিংহ-৯)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-১৫৪ (ময়মনসিংহ-৯)


বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে   ময়মনসিংহ-৯ আসনের হালচাল।

ময়মনসিংহ- ৯ আসন 

ময়মনসিংহ-৯ সংসদীয় আসনটি নান্দাইল উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ১৫৪ তম আসন।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির  এম এ খালেক বিজয়ী হন

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৮৬ হাজার ১ শত ৫৯ জন। ভোট প্রদান করেন ৮৮ হাজার ৮ শত ৬৯ জন। নির্বাচনে বিএনপির  এম এ খালেক বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ২৮ হাজার ৩ শত ৪৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন  আওয়ামী লীগের আবদুস সালাম । নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২৭ হাজার ৮ শত ৩৮ ভোট।\

ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: বিএনপির  জহুরুল ইসলাম খান কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এই নির্বাচনে বিএনপির  জহুরুল ইসলাম খান কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন মাদানী  বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ৩ শত ৯ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ  ৯ হাজার ১ শত ৪ জন। নির্বাচনে  আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন মাদানী  বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৪৬ হাজার ৭ শত ৭২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টীর  আবদুল হান্নান । লাঙ্গল প্রতীকে  তিনি পান ২৯ হাজার  ৪ শত ৫৬ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের আব্দুল মতিন সরকার  বিজয়ী হন

২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২লাখ ৩০ হাজার ৪ শত ৬৬ জন। ভোট প্রদান করেন ১লাখ ৫৯ হাজার ৯ শত ৯০  জন। নির্বাচনে  আওয়ামী লীগের আব্দুল মতিন সরকার  বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান  ৮২ হাজার ১ শত ৫৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির  এম এ খালেক । ধানের শীষ প্রতীকে  তিনি পান ৫৬ হাজার ৫ শত ৯২ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের আবদুস সালাম বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ২৯ হাজার ৬ শত ৭২ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ৮  শত ৭২ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আবদুস সালাম বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ২৭ হাজার ৩ শত ১৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির খুররম খান চৌধুরী । ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৫৬ হাজার ৮ শত ৪৩ ভোট।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের  আনোয়ারুল আবেদীন খান বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হন 

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের  আনোয়ারুল আবেদীন খান বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হন।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের  আনোয়ারুল আবেদীন খান বিজয়ী হন। 

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৯৪ হাজার ১ শত ৫ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৫৫ হাজার ৩ শত ৬৪ জন।

নির্বাচনে  প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের  আনোয়ারুল আবেদীন খান, লাঙ্গল প্রতীকে  জাতীয় পার্টির হাসনাত মাহমুদ, ধানের শীষ প্রতীকে  বিএনপির  খুররম খান চৌধুরী  ,  হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলনের সাইদুর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির শফিকুল আলম, কুড়াল  প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুস সালাম প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে  আওয়ামী লীগের  আনোয়ারুল আবেদীন খান বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২ লাখ ২৭ হাজার ২ শত ৭৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির খুররম খান চৌধুরী। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ২০ হাজার ৪ শত ৬০ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পঞ্চম ও ষষ্ঠ সংসদে বিএনপি , সপ্তম , অষ্টম , নবম,  দশম ও একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ টানা  বিজয়ী হয়।

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ময়মনসিংহ-৯ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ময়মনসিংহ-৯ সংসদীয় আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৪১.৫৭% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৪.৮১%, বিএনপি ৪১.১৮%, জাতীয় পাটি ০.৫২%, জামায়াত ইসলামী ৫.৮৭ % , স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১৭.৬২%  ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৫৯.০৫% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৯.২০%, বিএনপি ২৭.৫৩% জাতীয় পাটি ২৮.১০% , জামায়াত ইসলামী ১.৭০ % স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৩.৪৭%  ভোট পায়।

২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬৪.৮১ % ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৮.৬৭ %, ৪ দলীয় জোট ৪৩.৮৮%, জাতীয় পার্টি ৪.৬৭% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১২.৭৮%  ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮১.৮৪% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৬৭.৭৩ %, ৪দলীয় জোট ৩০.২৪% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ২.০৩%  ভোট পায়।

ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহীন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও মনোনয়ন চাইবেন। তুহিন ছাড়া আরও মনোনয়ন চাইবেন নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম, নান্দাইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক চৌধুরী স্বপন, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পাবলিক প্রসিকউিটর অ্যাডভোকেট কবির উদ্দিন ভূঁইয়া, হাইকোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন হুমায়ূন।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন সাবেক সংসদ সদস্য খুররম খান চৌধুরীর পুত্র নান্দাইল উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাসের খান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য আনওয়ারুল হোসেন খান চৌধুরীর পুত্র ও বিএনপির বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়ন কমিটির সদস্য ইয়াসের খান চৌধুরী। নাছের খান ও ইয়াসের খান সর্ম্পকে  চাচাতো ভাই।

এছাড়া সৌদি আরব বিএনপি নেতা শিল্পপতি একেএম রফিকুল ইসলাম ও মালয়েশিয়া বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক মামুন বিন আবদুল মান্নান মনোনয়ন চাইবেন। তবে বিএনপির মনোনয়ন লড়াইটা হবে নাছের খান চৌধুরী ও ইয়াসের খানের মধ্যে। তবে নাসের খান চৌধুরীর পাল্লাই ভারি।

জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইবেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম ভূঁইয়ার পুত্র হাসনাত মাহমুদ তালহা। জাসদ থেকে মনোনয়ন চাইবেন ময়মনসিংহ জেলা জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন।

তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, ময়মনসিংহ-৯ নান্দাইল আসনে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়-জয়াকার অবস্থার মধ্যে সারাদেশে মাত্র দুটি আসনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হন। এর একটি  ময়মনসিংহের নান্দাইল ও ঈশ্বরগঞ্জ নিয়ে গঠিত আসন।

পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছয়বার, বিএনপি চারবার ও জাতীয় পার্টি একবার এই আসনে বিজয়ী হয়েছেন।

আওয়ামী লীগে বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহীন ও সাবেক সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম দুই ধারায় বিভক্ত। আলাদা বলয় ও কোন্দলের কারণে কর্মসূচিও পালিত হয় আলাদাভাবে।

বিভক্তি আছে বিএনপিতেও। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির বিভক্তি প্রথমবারের মতো দৃশ্যমান হয়। ওই সময়ে সাবেক সংসদ সদস্য  খুররম খান চৌধুরী ও সৌদি আরব বিএনপির নেতা এ কে এম রফিকুল ইসলাম দলীয় মনোনয়ন চান। নির্বাচনে খুররম খান চৌধুরী মনোনয়ন পান এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন থেকে রফিকুল ইসলাম তার অনুগত নেতাকর্মীদের নিয়ে আলাদা বলয় তৈরি করেন।

সাবেক সংসদ সদস্য খুররম খান চৌধুরী মৃত্যুবরণ করলে তার পুত্র নাসের খান চৌধুরী দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব নেন এবং  দলের বড় অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নাছের খানের গ্রুপটিই শক্তিশালী। ভদ্র, পরিচ্ছন্ন তরুণ এই নেতা বাবা ইমেজকে কাজে লাগিয়ে এলাকায় বেশ জয়প্রিয় হয়ে ওঠেছেন। নির্বাচন যত কাছে এগিয়ে আসছে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা তার প্রতি সমর্থন ও আস্থাশীল হচ্ছেন।

নাসের খান তদানিন্তন জমিদার মরহুম আশরাফ হোসেন খান চৌধুরী এবং চট্রগ্রাম রাউজানের সাবেক সাংসদ, পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধী দলীয় নেতা এ কে এম ফজলুল কবির চৌধুরী সাহেবের নাতি ও বরেণ্য রাজনীতিবিদ মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা খুররম খান চৌধুরী’র একমাত্র পুত্র ।

নাসের খান চৌধুরী মালয়েশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-ব্যবস্থাপনার ওপর উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। তার  পিতা মরহুম খুররম খান চৌধুরী  একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। নান্দাইল আসনে চার বার এবং পাশের ইশ্বরগঞ্জ থেকে একবারসহ পাচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

অন্যদিকে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আনওয়ারুল হোসেন খান চৌধুরীর পুত্র  ইয়াসের খান চৌধুরী আলাদা একটি বলয় তৈরি করে বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচী পালন করছেন। বিরোধ না মিটলে আসনটি পুনরুদ্ধার করা বিএনপির জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়বে। জয় ঘরে তুলতে চাইলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে  দলীয় কোন্দল নিরসন ও যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের ওপর জোর দিতে হবে।

সব মিলিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ১৫৪তম সংসদীয় আসন (নান্দাইল) আসনে বিএনপি বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করেন  রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ।

বিএনএ/ শাম্মী, রাহেনা, ওজি, ওয়াইএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ