36 C
আবহাওয়া
৩:০০ অপরাহ্ণ - মে ১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কলকাতায় উদ্‌যাপিত হলো বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী

কলকাতায় উদ্‌যাপিত হলো বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী

আমার মা

কলকাতা,  ৮ আগস্ট :  বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব এঁর ৯১তম জন্মবার্ষিকী কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন অত্যন্ত গাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে উদ্‌যাপন করেছে। এ উপলক্ষে উপ-হাইকমিশনের গ্যালারিতে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, তথ্যচিত্র প্রদর্শন, বাণী পাঠ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

 

উপ হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রখ্যাত সাংবাদিক অমল সরকার, উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) ড. মোঃ মোফাকখারুল ইকবাল, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-১) শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি ও প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-২) সানজিদা জেসমিন।

 

সভাপতির বক্তব্যে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনে বাবা মায়ের পাশাপাশি যাঁর অবদান সবচেয়ে বেশি ছিল তিনি হচ্ছেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব । তাঁর অসামান্য অবদানের কারণেই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু । বঙ্গবন্ধু তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে প্রায় ৩৬ বার স্ত্রী রেণুর কথা উল্লেখ করেছেন আর কারাগারের রোজনামচায় উল্লেখ করেছেন প্রায় ৭০ বার । এই বই দুটি পড়লে স্পষ্টতই মনে হয় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর জীবনের চালিকাশক্তি । কাজেই বঙ্গমাতার প্রকৃত মূল্যায়ন ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস অসম্পূর্ণ থেকে যাবে ।

 

বিশেষ অতিথি সাংবাদিক অমল সরকার বলেন, দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্র হিসাবে উদ্ভবের পর পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তানের ওপর যে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছিল, তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুরুতেই মানতে পারেননি। এ মহারণে বঙ্গবন্ধু যে মরণপণ যুদ্ধ করেছিলেন, তার প্রতিটি ধাপেই বঙ্গমাতার উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল।

 

ড. ইকবাল তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব পরস্পর পরিপূরক ও অবিচ্ছেদ্য। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির পিতা হয়ে উঠার নেপথ্য সারথি হলেন, তাঁর চিরজীবনের সুখ দুঃখের সাথী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। জাতির জনকের আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন বঙ্গমাতা। বাঙালি ও বাংলাদেশের সাথে বঙ্গবন্ধু যেভাবে জড়িয়েছিলেন, বঙ্গমাতাও তেমনি বঙ্গবন্ধুর সাথে ছিলেন।

 

শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি বলেন,আদর্শ আর কর্মের মৃত্যু নেই। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কর্ম, দেশপ্রেম, সংগ্রাম আমাদের পথ দেখাবে যুগ যুগ ধরে। সব যুগের সব মানুষের জন্য তিনি রেখে গেছেন অনুকরণীর, অনুসরণীয় নিদর্শন, যা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো আগামীর পথে । যতদিন বাংলাদেশ থাকবে-ততদিন জাতির পিতার মতই সমুজ্জ্বল থাকবেন বঙ্গমাতা।

 

অনুষ্ঠানে উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কলকাতার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এঁর ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন উপ-হাইকমিশন এর কাউন্সিলর ( শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম ও কাউন্সিলর (কনস্যুলার) মোঃ বশির উদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-৩) মুহাম্মদ সানিউল কাদের।

বিএনএনিউজ, এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ