বিএনএ ডেস্ক: পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তবে ঈদের জামাত কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। এমন কথা বলেছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
শুক্রবার (৮ জুলাই) সকালে জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদের নামাজে আদায়ের সময় মোবাইল যদি কাছে রাখতেই হয় তাহলে মোবাইল পাঞ্জাবির পকেটে না রেখে হাতে রাখতে হবে। কারণ এক শ্রেণির মানুষ নামাজ পড়তে না এসে চুরির সুযোগ খোঁজে। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাগসহ অন্য কিছু আনার সুযোগ থাকছে না।
শফিকুল ইসলাম বলেন, নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা জায়নামাজ ও ছাতা আনতে পারবেন। তবে সবাইকে মাস্ক পরিধান করে আসতে হবে।
ঈদের সময় ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে যেখানেই যান মূল্যবান সম্পদের হেফাজত নিজ থেকে করতে হবে। যারা গ্রামের বাড়িতে যাবেন তাদেরকে বাসার গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র বিশেষ করে স্বর্ণ ও টাকা ব্যাংকের লকারে রেখে যাওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, অনলাইনে জঙ্গিদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। ঢাকার আশপাশ থেকে ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে জঙ্গিরা সবসময় হামলার সুযোগ খোঁজে। আমরাও তৎপর আছি তাই পীর সাহেবদের মাজার এবং শিয়াদের ঈদগাহ গুলোতে বেশি নিরাপত্তা দেয়া হবে।
গরুর বাজারের নিরাপত্তা সম্পর্কে বলেন, কোন ধরনের মলম পার্টি বা অজ্ঞান পার্টির ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। বাজারে পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি রয়েছে। বাজারে বেশি হাসিল যেন ইজারাদাররা বেশি না নিতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে।
ব্রিফিংয়ের আগে ডিএমপি কমিশনার জাতীয় ঈদগাহ এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঘুরে দেখেন। কথা বলেন সোয়াট, ডগ স্কোয়াডসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে।
বিএনএ/ এ আর