বিএনএ, ঢাকা : গ্রামীণ টেলিকমের চাকরিচ্যুতদের কাছ থেকে আইনজীবির ১২ কোটি টাকা ফি নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আইনি ফি হিসেবে বিপুল টাকা নেওয়া সম্পর্কিত বিতর্কসহ অন্যান্য বিষয়ে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ অনুসন্ধান করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও বার কাউন্সিলের সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী ও মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।
এর আগে বুধবার (৬ জুলাই) নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ টেলিকমের চাকরিচ্যুতদের কাছ থেকে ১২ কোটি টাকার বেশি ফি নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন।
গত ৩ জুলাই নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ টেলিকমের চাকরিচ্যুতদের কাছ থেকে ১২ কোটি টাকার বেশি ফি নেওয়ার কথা ‘পরোক্ষভাবে’ স্বীকার করেছেন আইনজীবী ইউসুফ আলী। তিনি বলেছেন, সমঝোতা করে নয়, মামলায় মুহাম্মদ ইউনূসকে পরাজিত করে চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের ৪৩৭ কোটি টাকা আদায় করে দিয়েছি। সেখান থেকে মোটা অংকের ফি ক্লায়েন্টরা আমাকে দিয়েছেন।
এর আগে ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার বলেন, আমরা শুনেছি, টাকার বিনিময়ে কর্মচারীদের আইনজীবী পক্ষপাতিত্ব করেছেন এবং শ্রমিক-কর্মচারীরা সমঝোতার মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি করতে বাধ্য হয়েছেন।
আদালত আরও বলেন, আদালত ব্যবহার করে কোনো অনিয়ম করা চলবে না। সব কিছু আইন অনুযায়ী না হলে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে। আমি আদালতের মর্যাদা এবং আইনজীবীদের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাই না। শুধু বাংলাদেশেই নয়, এই উপমহাদেশে এমন কোনো আইনজীবী নেই, যিনি একটি মামলার জন্য ১২ কোটি টাকা ফি নিতে পারেন।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।