বিএনএ, স্পোর্টস ডেস্ক : মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাসকিন আহমেদের ব্যাটি দৃঢ়তায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৬৮ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ১৫০ রান নেওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত ছিলেন।
টেস্টের প্রথম দিন বাংলাদেশের শুরুটা ছিল বিপর্যয়ের। শুরুতে ৮ রান তুলতে ২ উইকেট সফরকারীরা।অধিনায়ক মুমিনুলের ৭০ রানে কিছুটা লড়াই করে অতিথিরা। এরপর আবার ছন্দপতন। ১৩২ রানে নেই ৬ উইকেট। একটা সময় মনে হতে থাকে ২০০ পর্যন্ত যেতে পারবেতো বাংলাদেশ!
১২৬ ওভার ব্যাটিংয়ের পর টেস্টের দ্বিতীয় দিনে প্রথম ইনিংসে ৪৬৮ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ১৫০ রানের অপরাজিত থাকা মাহমুদ উল্লাহর ইনিংসটি ছিল টেস্টে তার সর্বোচ্চ। এর আগে মাহমুদউল্লাহর টেস্ট ক্যারিয়ারে সেরা ইনিংসটি ছিল ১৪৬ রানের। ২০১৯ সালে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেটা করেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
ওই ম্যাচেও বড় জুটি গড়েছিলেন। সৌম্য সরকারকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ২৩৫ রানের জুটি গড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। যেটি কিনা বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের সপ্তম সেরা জুটি।
নবম উইকেটে তাসকিনকে নিয়ে ১৯১ রানের জুটিতে বেশ কয়েকটি রেকর্ডে নাম লেখালেন মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই উইকেটে এটিই সেরা। নবম উইকেটে যে কোনো দলের সেরা জুটি হারারের স্পোর্টস ক্লাব মাঠেও।
শেষ পর্যন্ত মিলটন সাম্বার ঘূর্ণিতে তাসকিন আহমেদ ব্যক্তিগত ৭৫ রানে বোল্ড হলে ভেঙেছে রেকর্ডগড়া জুটিটি। ১৩৪ বলে তাসকিনের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসটিতে ছিল ১১টি বাউন্ডারির মার।
দলীয় ৪৬১ রানে তাসকিন ফেরার পর আর বেশিদূর এগোয়নি বাংলাদেশের ইনিংস। এবাদত হোসেন এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন শূন্য রানেই। ৭ রান যোগ করেই থামে টাইগাররা।
জিম্বাবুইয়ান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ব্লেসিং মুজারবানি। ৯৪ রান খরচায় বাংলাদেশের ৪ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন তরুণ এই পেসার। ২টি করে উইকেট শিকার ডোনাল্ড তিরিপানো আর ভিক্টর নিয়াচির।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: (আগের দিন ২৯৪/৮) ১২৬ ওভারে ৪৬৮ (মাহমুদউল্লাহ ১৫০*, তাসকিন ৭৫, ইবাদত ০; মুজারাবানি ২৯-৪-৯৪-৪, এনগারাভা ২৩-৫-৮৩-১, টিরিপানো ২৩-৫-৫৮-২, নিয়াউচি ১৭-১-৯২-২, মায়ার্স ৩-১-১৩-০, শুম্বা ২১-৪-৬৪-১, কাইয়া ১০-০-৪৩-০)।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।