বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। তবে সাতক্ষীরায় এর প্রভাব দেখা যাবে। তা ছাড়া খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টি শুরু হতে পারে আবহাওয়া পূর্বাভাসে এমনটাই বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় এর প্রভাবে ১০ মে থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে ১১ মে বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের জেলাগুলো এবং ১২ ও ১৩ মে দেশব্যাপী বৃষ্টি হতে পারে। ১৩ ও ১৪ মে চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আমেরিকান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল অনুসারে ঘূর্ণিঝড় অশনির কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ১০ থেকে ১৪ মে পর্যন্ত ৬০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তার কাছাকাছি দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নিম্নচাপে পরিণত হয়। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। যে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপের গতি এখন উত্তর-পশ্চিম দিকে। যদি এটি দিক পরিবর্তন না করে এভাবে এগিয়ে যায় তাহলে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পর তা ভারতের উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওডিশা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি ভারতে সরাসরি আঘাত হানার শঙ্কা দেখা দেওয়ায় দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ এর গতি আপাতত উত্তর-পশ্চিম দিকে আছে। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড় ভারতের ওডিশায় আঘাত হানলেও বাংলাদেশের সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় এলাকাগুলোতে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘আতঙ্কে’ আছে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের লাখ লাখ রোহিঙ্গা। তবে এ দুর্যোগ মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুমসহ প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে এখানে পাহাড় ধস হতে পারে। এরই মধ্য প্রতিটি ক্যাম্পে কন্ট্রোল রুম স্থাপনের নির্দেশনাসহ ৯টি কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মিকন তঞ্চংগা স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব পাহাড়ের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস আছে সংশ্নিষ্টদের সহযোগিতায় তাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে।
বিএনএনিউজ২৪/ ওয়াইএইচ/এমএইচ