অধ্যাপক আবদুল গফুর ১৯২৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ি জেলার দাদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম- হাজী হাবিল উদ্দিন মুন্সী, মাতার নাম- শুরুরুন্নেছা খাতুন। ভাষা-আন্দোলন ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সার্বক্ষণিক অংশগ্রহণের কারণে শিক্ষা জীবন বিপর্যস্ত হয়। ১৯৫১ সালে তাঁর এম. এ পাশ করার কথা থাকলেও পাশ করেন ১৯৬২ সালে। ছাত্র বয়সেই ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েন। আজীবন সক্রিয় রয়েছেন পড়াশোনা, লেখালেখি ও সাংবাদিকতায়। কর্ম জীবনের শুরু সাংবাদিকতা পেশায় কাটলেও কলেজে অধ্যাপনা, সরকারি কর্মকর্তা ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার পরিচালক হিসেবেও কেটেছে দীর্ঘদিন। তাঁর বেশ কয়েকটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ২০০৫ সালে ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ‘একুশে পদক’ লাভ করেন।
ঐতিহাসিক ভাষা-আন্দোলনের অগ্রসেনানীদের মধ্যে অধ্যাপক আবদুল গফুর ছিলেন অন্যতম। ভাষা-আন্দোলনের নির্ভিক মুখপত্র ‘সৈনিক’ পত্রিকার শুরুতে ১৯৪৮ সালে তিনি সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫২ সালের সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। এসময় রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠক ও সমাবেশগুলোতে তিনি যোগদান করেছেন এবং বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠনের পর ৩১ জানুয়ারি ১৯৫২ তারিখে বার লাইব্রেরি হলে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভাষা-আন্দোলনকে দেশব্যাপি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠনের পক্ষে বলিষ্ঠ বক্তব্য রেখেছিলেন।
সূত্র: যারা অমর ভাষা সংগ্রামে, লেখক: এমআর মাহবুব
সম্পাদনায়: মনির ফয়সাল
পড়ুন আগের পর্ব: ভাষা সৈনিক (১৮) অধ্যাপক আবদুল কাদের খান