বিএনএ,ঢাকা: খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও গাজীপুরসহ সারাদেশে বাটা শো-রুম, কেএফসিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৪৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার আরও তদন্ত চলছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত মামলাও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভিন্ন শহরে প্রো-গাজা বিক্ষোভ চলাকালে সংঘটিত সহিংস ও বেআইনি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা জননিরাপত্তা ও আইনের শাসনের ওপর সরাসরি আঘাত।
এছাড়া, এ ঘটনায় আরও জড়িতদের ধরতে বিক্ষোভ চলাকালে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করার কথা বলা হয়।
আইজিপির বরাত দিয়ে বলা হয়, আমাদের কাছে হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ আছে। তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। বাংলাদেশ পুলিশ বর্তমানে এ নিয়ে কাজ করছে। সরকার কোনো ন্যায়সঙ্গত বিক্ষোভে বাধা দেয় না। তবে, প্রতিবাদ কর্মসূচির আড়ালে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।
এদিকে চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন শুরুর দিনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা ‘ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন’ করে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, যখন আমরা বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করছি, তখন এ ধরনের ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অনেকেই স্থানীয় বিনিয়োগকারী, কিছু বিদেশি বিনিয়োগকারী আছেন যারা বাংলাদেশের প্রতি আস্থা রাখতেন। তারা সবাই আমাদের তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। যারা এই জঘন্য ভাঙচুর চালিয়েছে তারা দেশের কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা বিরোধী ।
বিএনএনিউজ/আরএস