25 C
আবহাওয়া
২:১৭ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম টানা ১২ মাস কমল

খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম টানা ১২ মাস কমল

খাদ্যপণ্য

বিএনএ ডেস্ক: বিশ্ববাজারে কমছে খাদ্যপণ্যের দাম। সর্বশেষ গত মাসেও (মার্চ) এসব পণ্যের বৈশ্বিক বাজার দর কমেছে। এ নিয়ে টানা ১২ মাস খাদ্যপণ্যের দামে নিম্নমুখী ধারা বজায় রয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সাম্প্রতিক মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের মার্চে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছিল। গত মাসে সে তুলনায় দাম কমেছে সাড়ে ২০ শতাংশ।

এফএও প্রতি মাসেই খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক মূল্যসূচক প্রকাশ করে। মূলত, বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া পণ্যের ওপর ভিত্তি করেই এ সূচক তৈরি করা হয়। গত মাসে সূচক দাঁড়িয়েছে ১২৬ দশমিক ৯ পয়েন্টে, যা ২০২২ সালের মার্চের পর সর্বনিম্ন।

মাসভিত্তিক প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, গত মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে দানাদার খাদ্যশস্য ও ভোজ্যতেলের দাম ব্যাপকভাবে কমেছে, যা খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যবৃদ্ধিতে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে।

এফএওতে দানাদার খাদ্যশস্যের মূল্যসূচক এক মাসের ব্যবধানে দশমিক ৫ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দাম আরও কমার আশঙ্কা ছিল। গমের বাজারদর ৭ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে।

মার্চে ভোজ্যতেলের দাম ৩ শতাংশ কমেছে। দুগ্ধপণ্যের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। তবে চিনির বাজারদর ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে।

সরবরাহ ও চাহিদাসংক্রান্ত ভিন্ন একটি প্রতিবেদনে এফএও বিশ্বজুড়ে গম উৎপাদনের প্রাথমিক পূর্বাভাস দিয়েছে। এতে বলা হয়, চলতি বছর শস্যটির উৎপাদন এক বছরের ব্যবধানে কমে ৭৮ কোটি ৪০ লাখ টনে নামতে পারে।

ইউক্রেন ‍বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ শস্য রপ্তানিকারক দেশ। বর্তমানে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি অর্থনৈতিক নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে। একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষিজমি, অবকাঠামো ও মজুদাগার। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা জমি পর্যন্তই যেতে পারছেন না। এতে চলতি বছর দেশটিতে শীতকালীন গম আবাদ আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। প্রাক্কলিত আবাদ কমার হার ৪০ শতাংশ।

এ ক্ষেত্রে কিছুটা ভারসাম্য এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে শস্যটির উৎপাদন বেড়ে ৫ কোটি ১০ লাখ টনে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত, ২০১৫ সালের পর থেকেই দেশটিতে গমের আবাদ বাড়াচ্ছেন কৃষকরা। ভালো দামের কারণে শস্যটি থেকে লাভবান হচ্ছেন তারা।

এফএও জানায়, চলতি বছর বিশ্বজুড়ে ২৭৭ কোটি টন দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদন হতে পারে। আগের মাসের তুলনায় উৎপাদন পূর্বাভাস ৯০ লাখ টন বাড়ানো হয়েছে। যদিও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তা ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমতে পারে।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ