26 C
আবহাওয়া
৪:১৬ পূর্বাহ্ণ - মে ২১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ইমরানের ভাগ্যে তাহলে অসম্মানজনক বিদায়?

ইমরানের ভাগ্যে তাহলে অসম্মানজনক বিদায়?

ইমরান খান

বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেল ইমরান খানের সরকার। পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করেছিলেন দেশটির ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। তিনি জানিয়েছিলেন, এই অনাস্থা ভোট অসাংবিধানিক। এরপরই ইমরান খানের পরামর্শে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট ডেপুটি স্পিকারের সিদ্ধান্তকে অবৈধ হিসেবে রায় দিয়েছে।

পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় অনাস্থা ভোটের আয়োজন করার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে যতক্ষণ না চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই কমিটিকে ভেঙে দেওয়া যাবে না। খবর- ডনের

এর ফলে শনিবারই নির্ধারিত হবে ইমরান খানের ভাগ্য। এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বিচারপতি বান্দিয়াল বলেন, ‘গত ৩ এপ্রিল এ নিয়ে একটি রায় দিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকার। কিন্তু, স্পিকারের ওই সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক।’

ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের পেশ করা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ ও ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার প্রক্রিয়াটি আদৌ ঠিক কিনা তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার জরুরি ভিত্তিতে ওই মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে।

সম্প্রতি ইমরানের বিরুদ্ধে পাক পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা পেশ করা হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, ওই প্রক্রিয়া শুরু হলে ইমরান পরাজিত হতেন। কিন্তু, তার আগেই এই প্রস্তাবকে বেআইনি বলে খারিজ করে দেন ন্যাশনাল অ্যাসম্বলির ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। পরে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিকেই ভেঙে দেন।

প্রস্তাব খারিজ করার সময় সুরি বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব সেই দেশের সংবিধানের ৫ নম্বর ধারার পরিপন্থী।’

এর জেরে বিরোধীদের হাত থেকে ইমরানকে গদিচ্যুত করার ক্ষমতা চলে যায়। যদিও পরে প্রেসিডেন্টই আবার ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি থেকে সরিয়ে দেন। এই গোটা ঘটনাক্রমকে বেআইনি এবং ক্ষমতার অপপ্রয়োগ বলে দাবি করেছেন বিরোধীরা। সুবিচার চেয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তারা।

সম্প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, ‘এটা একটা যুদ্ধ। এই যুদ্ধ দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষার। আমাদের সামনে দু’টো পথ খোলা রয়েছে। হয় আমরা ধ্বংসের পথ অবলম্বন করতে পারি নয়তো আমরা সম্মান রক্ষার স্বার্থে লড়াই চালাতে পারি। আমার মনে হয় দ্বিতীয় রাস্তাটিই গর্বের। এই রাস্তায় আমাদের বিপ্লব এনে দেবে।’

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ