বিএনএ,বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা: উপরের ছবিতে উচ্ছ্বাসিতভাবে যাকে হাসতে দেখছেন তিনি হুমাম কাদের চৌধুরী (কোকো)। বহুল আলোচিত সমালোচিত প্রয়াত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুত্র। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হুমাম কাদের চৌধুরী পিতার মতো বির্তকিত মন্তব্য করে থাকেন। ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে হুমাম কাদের চৌধুরী (কোকো) আলোচিত একটি নাম।
আলোচিত সমালোচিত হুমাম কাদের চৌধুরী ২০১৬ সালে ৩ আগষ্ট পুরানো ঢাকার আদালত এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। ৬ মাস পর ২০১৭ সালের ১ মার্চ তিনি ফিরে আসেন। তখন থেকে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে তার উপস্থিতি দেখা যায়নি।বির্তকিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।
উল্লেখ, ১৯৭১ সালে মানবতা বিরোধী অপরাধে তৎকালীন মুসলিম লীগ নেতা, সংসদের স্পিকার ও অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি হয় ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।
সাকার মামলার রায় ফাঁস এবং লোকচক্ষুর অন্তরালে কোকো!
মানবতা বিরোধী অপরাধে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ২০১৪ সালের ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায় প্রকাশের আগেই ১৮ সেপ্টেম্বর সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও তার ছেলে হুমাম কাদের চৌধুরী ট্রাইব্যুনালের রায় ফাঁসের অভিযোগ করেন। এক সংবাদ সম্মেলনে রায়ের খসড়া কপি গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরে বলেন, www.traibunalleaks.be নামের একটি অনলাইনে সরকারের ফরমায়েশি রায় প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর নজরে এলে রায় ঘোষণার আগে রায়ের কপি কীভাবে ইন্টারনেটে প্রকাশিত হয়েছে সেটি উদঘাটনের জন্য ট্রাইব্যুনাল-১ এর রেজিস্ট্রার এটিএম নাছির উদ্দিন শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ওই জিডি’র সূত্র ধরে তদন্তে নামে ডিবি পুলিশ। আটক করা হয় ট্রাইব্যুনাল-১ এর পরিচ্ছন্নতা কর্মী নয়ন আলীকে। নয়ন আলী স্বীকার করেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর অফিস সহকারী ফারুক হোসেনের কথা মতো ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এর কম্পিউটার থেকে সাকা চৌধুরীর রায়ের কপি সংগ্রহ করা হয়। ফারুক সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুলের জুনিয়র মেহেদী হাসানের কথায় এ কাজ করেন বলে পুলিশকে জানায়। ব্যারিস্টার ফখরুল নয়নকে পুরস্কার হিসেবে একটি সিম্পনী মোবাইল দেন।
পরবর্তীতে ট্রাইব্যুনাল-১ এর রেজিস্ট্রার এটিএম নাছির উদ্দিন তথ্য প্রযুক্তি আইনে সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ,ছেলে হুমাম কাদের, আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দেয়া হয়। এতে বলা হয়, দেশ-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে সাকার পরিবার পরস্পরের যোগসাজসে এমন কান্ড ঘটান। মামলার হাজিরা দিতে গিয়ে হুমাম কাদের চৌধুরী পুরান ঢাকার আদালত এলাকা থেকে ২০১৭ সালের ৪ আগষ্ট অপহরণের শিকার হয়েছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করে। ৭ মাস পর ২০১৮ সালের ৩ মার্চ ফিরে আসেন হুমাম।এরপর থেকে লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়ে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির তরুন এ নেতা। অন্তরাল থেকে ভালবাসা দিবসে প্রেমিকা কে সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ করেন।
বির্তকিত ‘ভেলেন্টা্ই ডে’ এবং কোকো!
এক দশক ধরে তিনি চট্টগ্রামের এক শিল্পপতির মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে আসছিলেন। অবশেষে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ইসলাম ধর্মে বির্তকিত বিশ্ব ভালবাসা দিবস (ভেলেন্টাইন ডে)তে আকদ করেছেন। হুমাম কাদের কোকো বিয়ের দিনটিকে বিশেষ স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ব ভালবাসা দিবসকে (ভেলেন্টাইন ডে) বিয়ের দিন হিসেবে বেছে নিয়েছেন! এ ব্যাপারে হুমাম কাদের চৌধুরী কোন বক্তব্য পাওয়া যায়। কয়েকজন আত্বীয় স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেছেন আকদ হওয়ার বিষয়টা তারা শুনেছেন, তবে কোন ধরনের আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে রাজী হননি।
প্রসঙ্গত, হুমাম কাদের চৌধুরী (কোকো) তার পরিবার পাকিস্তানি চিন্তাধারায় বিশ্বাসী। পাকিস্থানে (ভেলেন্টইন ডে) নিষিদ্ধ। বাংলাদেশেও ভেলেন্টইন ডে উদযাপন নিয়েও নানা সমালোচনা ও বির্তক রয়েছে।
অনুষ্ঠানে অতিথির মধ্যে আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতাসহ অতি ঘনিষ্ঠ কয়েকজন আত্মীয় উপস্থিত ছিলেন। উভয় পরিবারের সময় সুযোগ করে বড় অনুষ্ঠান করে আত্বীয়-স্বজন ও রাজনৈতিক নেতাদের দাওয়াত খাওয়ানের সিদ্ধান্ত এখনই নেয়া হচ্ছে না। তাদের আকদের বিষয়টি আত্বীয় স্বজনরা এক কান দু’কান করে জেনে গেছেন। যদিও এ ব্যাপারে কেউ মুখ খুলছেন না।
প্রতিবেদনটি এখানে শেষ হয়ে যেতে পারতো! কিন্তু বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি (বিএনএ) টিম হুমাম কাদের চৌধুরীর প্রিয়তমা শামানজা খানের পরিচয় জানতে বিশেষ অনুসন্ধান চালায়।
কে এই শামানজা খান?
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপি ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদ্য হুমাম কাদের চৌধুরী কোকো অতি গোপনীতার মাধ্যমে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আক্দ করেছেন। তার জীবন সঙ্গী হচ্ছেন শিল্পপতি একে খান (আবুল কাসেম খান) এর নাতনি, একে খান গ্রুপের চেয়ারম্যান শামশুদ্দিন খানের মেয়ে। তার নাম শামানজা খান। হুমাম কাদের চৌধুরী কোকো এবং তার জীবনসঙ্গী শামানজা খান প্রায় সমবয়সী।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, হুমাম কাদের চৌধুরী যাকে ভালবেসে বিয়ে করেছেন সেই শামানজা খানকে এক সময় ভালবাসতেন চট্টগ্রামের আরেক শিল্পপতি এবং চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমানের ছেলে ইয়াছিন রহমান টিটু। যদিও কথিত টিটুর এ ভালবাসাকে একতরফা, কাল্পনিক ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন শামানজা খান ও তার পরিবার।
সূত্র জানায়, ইয়াছিন রহমান টিটু শামানজাকে পেতে ১৯৯৯ সালের ৯ জুন বিকাল ৫টার দিকে এক ভারতের নাগরিককে ভাড়াটে লোকজন দিয়ে হত্যা করান। হত্যার শিকার ব্যক্তির নাম জিবরান তায়েবি। তিনি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদস্থ সেন্ট্রাল মেরিটাইম (বিডি) লিমিটেডের প্রিন্সিপাল রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে জিবরান তায়েবিকে আগ্রাবাদের শেখ মুজিব রোডের চুংকিং রেস্টুরেন্টের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়। জিবরানের বাবা টি এ খান পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তৎকালীন শীর্ষ কর্মকর্তা ছিলেন।
চাকরি সূত্রে ওই সময় জিবরান তাঁর স্ত্রী তিতলী নন্দিনীকে নিয়ে চট্টগ্রামে অবস্থান করছিলেন। তিতলী নন্দিনী চিটাগাং গ্রামার স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। চিটাগাং গ্রামার স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী ছিলেন শামানজা খান তিতলীর বাসায় প্রাইভেট পড়তেন । সেই সূত্রে জিবরান তায়েবির সঙ্গে শামানজা খানের সঙ্গে সুসর্ম্পক গড়ে ওঠেছে ! এমন অভিযোগ ছিল কেডিএসের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমানের ছেলে ইয়াছিন রহমান টিটুর। তার সন্দেহ শামানজা খানকে পাবার ক্ষেত্রে জিবরান তায়েবিই বড়ো বাধা!
জিবরান তায়েবির বাসায় বেশ কয়েকবার শামানজা খানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল টিটু। জিবরান বিষয়টি জানার পর টিটুকে অপমান করেছেন। সে ক্ষোভ ও প্রেমিকা হিসেবে শামানজাকে পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা মনে করে খালতভাই ওসমান আলীকে দিয়ে জিবরানকে হত্যা করান টিটু। এ তথ্য ওসমান আলী ও অন্যান্য আসামীদের স্বীকারোক্তিতে রয়েছে।জানা যায়, জিবরান হত্যাকান্ডের পর লন্ডনে চলে যান ইয়াছিন রহমান টিটু।কিছুদিন পর শামানজাও লন্ডনের পথ ধরেন।
জিবরান তায়েবি হত্যাকান্ডের পরদিন (১০ জুন ১৯৯৯) ডবলমুরিং থানায় জিবরানের সহকর্মী জেমস রায় মামলা করেন। এজাহারে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। প্রথমে এ মামলাটি ছিল ক্লু লেস। সারাদেশে তোলপাড় করা এ মামলাটির রহস্য উদঘাটন করতে চট্টগ্রামের তৎকালীন অনেক পুলিশ অফিসারের ঘুম হারাম হয়ে যায়। তদন্তের এক পর্যায়ে বেরিয়ে আসে এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে ত্রিভুজ প্রেমের সর্ম্পক রয়েছে। এমন তথ্য পেয়ে পুলিশ পড়ে যায় দোলাচলে । কে এই নারী? যাকে কেন্দ্র করে একজন ভারতীয় নাগরিক জিবরান হত্যার শিকার হলেন? এর উত্তর খুঁজেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। পেয়েও গেছেন।
টিটু এখন চট্টগ্রাম কারাগারে
টেলিফোন কল লিস্টের সূত্র ধরে পুলিশ টিটুর খালাত ভাই ওসমান আলীকে গ্রেফতার করে। আর ওসমান আলীর স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসে হত্যার মূল রহস্য। টপ সিক্রেট খ্যাত এ মামলায় ১৯৯৯ সালের ২২ নভেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আট আসামি হলেন ইয়াছিন রহমান টিটু, মো. ওসমান আলী, আলী আকবর ওরফে দিদারুল আলম, জিল্লুর রহমান, জাহিদ হোসেন ওরফে কিরণ, মো. সিদ্দিক, ওমর আলী ওরফে জাহাঙ্গীর কসাই ও আলমগীর। এ মামলায় ২০০২ সালের ১২ এপ্রিল চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের রায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপর আসামি টিটু, ওমর আলী ও আলমগীর খালাস পান।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের দেয়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করে। আসামিরাও আপিল করেন। আপিলের শুনানি শেষে ২০০৭ সালের ২৮ মার্চ হাইকোর্ট পলাতক টিটুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে নিম্ন আদালতের রায়ে খালাসপ্রাপ্ত ওমর আলী ওরফে জাহাঙ্গীর কসাই ও আলমগীরকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া নিম্ন আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মো. সিদ্দিক খালাস পান।
হাইকোর্টের রায়ের পর ২০১১ সালের ৯ অক্টোবর দেশে ফিরে এসে পরদিন চট্টগ্রামের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টিটু। পরে তাঁকে জেলহাজতে পাঠান আদালত। ওই বছরের ১৭ অক্টোবর কারাগারে থেকে তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন। একই বছরের ২৪ অক্টোবর বিলম্ব মার্জনা করে আদালত আপিল শুনানির জন্য বিষয়টি তালিকাভুক্তির নির্দেশ দেন। আপিলের ওপর সাত কার্যদিবস শুনানি শেষে ২০১২ সালের ১ আগস্ট রায় আপিল বিভাগ টিটুর যাবজ্জীবন কারাদন্ড বহাল রাখেন।এ মামলায় টিটু এখন চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন : ইউক্রেনে ৭০ কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক
আয়ুব খান সরকারে শিল্পমন্ত্রী ছিলেন একে খান
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিল্পপতি আবুল কাসেম খান (একে খান) পাকিস্তান আমলে আয়ুব খানের মন্ত্রী সভার শিল্পমন্ত্রী ছিলেন। তবে মুক্তিযুদ্ধে বাঙ্গালী হত্যার অভিযোগ নেই একে খান পরিবারের বিরুদ্ধে। তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী একে খান তার এক মেয়েকে বিয়ে দেন বঙ্গবন্ধুর আস্থাভাজন ও স্বাধীনতাত্তোর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এমআর সিদ্দিকীকে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর (বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে) তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর সেনা সমর্থিত খন্দকার মোস্তাক সরকার সবদেশের রাষ্ট্রদূতদের অব্যাহতি দিলেও এমআর সিদ্দিকীকে বহাল রাখেন। তিনি দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও তার পরিবারে সদস্যদের স্বঘোষিত খুনি তৎতালীন মেজর খন্দকার আব্দুর রশীদ ও সৈয়দ ফারুক রহমানের বদান্যতা পান।
আরও পড়ুন : যে চার শর্তে যুদ্ধ বন্ধ করবে রাশিয়া
বঙ্গবন্ধুর খুনি রশীদ- ফারুকের আত্বীয়!
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে হত্যাযজ্ঞের শিকার হন। এ হত্যাযজ্ঞের পরিকল্পনাকারিদের অন্যতম খন্দকার মোশতাক আহমেদ। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার দশপাড়ায়। কিলিং মিশনের অন্যতম হোতা কর্নেল (বরখাস্ত)খন্দকার আব্দুর রশীদ। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার ছয়গড়িয়া গ্রামে। বঙ্গবন্ধুর স্বঘোষিত খুনি খন্দকার আব্দুর রশীদ ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান আর্মির সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট থেকে ক্যাপ্টেন পদোন্নতি পাওয়ার পর আয়ুব খান সরকারের শিল্পমন্ত্রী, শিল্পপতি আবুল কাসেম (একে খান) এর বড় ভাই এসএ খানের বড় মেয়ে টিংকুকে বিয়ে করেন। ১৯৭২ সালে খন্দকার আব্দুর রশীদ এর শালিকা ফরিদাকে বিয়ে করেন নওগাঁর বাসিন্দা বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি সৈয়দ ফারুক রহামান। একে খানের নাতনি শামানজা খানকে বিয়ের মধ্য দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হুমাম কাদের চৌধুরী(কোকো) এখন বঙ্গবন্ধুর স্বঘোষিত খুনি খন্দকার আব্দুর রশীদ ও সৈয়দ ফারুক রহমানের ঘনিষ্ট আত্মীয় হলেন!
আরও পড়ুন :বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ : দলিলপত্র-পর্ব-০৮
বিএনএনিউজ২৪/