বিএনএ, ঢাকা: জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমেই হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে তাকে।
বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও ম্যাডামের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি ) বিকাল ৪টায় গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল নেওয়া হবে তাকে। সেভাবে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
এর আগে, ২০২৩ সালের ৯ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। টানা ৫ মাস ভর্তি ছিলেন হাসপাতালটিতে। এরমধ্যে একাধিকবার তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে নেয়া হয়েছে। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে আবার সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
এর মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে সরকারের কাছে তার পরিবার আবেদন করে। তবে অনুমতি মিলেনি। এমন প্রেক্ষাপটে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত ২৭ অক্টোবর। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে ঢাকার এই হাসপাতালে তার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়।
পরে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দীর্ঘ ১৫৬ দিন চিকিৎসা শেষে গত ১১ জানুয়ারি বাসায় ফিরেন খালেদা জিয়া।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাগারে ছিলেন তিনি। করোনা মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে তাকে মুক্তি দিয়েছিল। সেই থেকে ছয় মাস পরপর খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।
উল্লেখ্য, লিভার সিরোসিসের পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপসহ অন্যান্য কিছু রোগে আক্রান্ত বলে এর আগে তার চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন।
বিএনএ/এমএফ/ হাসনা