বিশ্ব ডেস্ক: বৃহস্পতিবার(৮ ফেব্রুয়ারি) ২৪ কোটি ১০ লাখ মানুষের পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচনে ইমরানের দল ও আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দলের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।
স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হবে এবং একটানা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সহিংসতা বা কোনো ঝামেলার কারণে ভোট বিঘ্নিত হলে কর্মকর্তারা ভোটের সময় বৃদ্ধি করতে পারবেন।
দেশটির ১২ কোটি ৮০ লাখ ভোটার তাদের পরবর্তী সরকার কারা গঠন করবে তা নির্ধারণ করবে। একইদিন দেশটির চারটি প্রদেশের আইনসভার নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। একজন ভোটার দুটি করে ভোট দেবেন, একটি জাতীয় আইনসভার জন্য অপরটি প্রাদেশিক আইনসভার জন্য। জাতীয় আইনসভার আসন সংখ্যা ২৬৬টি। এর মধ্যে পাঞ্জাব প্রদেশে আছে সবচেয়ে বেশি, ১৪১টি আসন। সিন্ধু প্রদেশে আছে ৬১টি, খাইবার পাখতুনখওয়ায় ৪৫টি, বেলুচিস্তানে ১৬টি ও রাজধানী ইসলামাবাদ অঞ্চলে ৩টি।
সামরিক বাহিনী পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তারা রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে না বলে দাবি করেছে। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের নির্বাচনে জেনারেলদের সমর্থন পাচ্ছেন নওয়াজ, এর আগে ২০১৮ সালে তারা ইমারনকে বেছে নিয়েছিলেন।
নওয়াজ ও ইমরান উভয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীই বলেছেন, সামরিক বাহিনীর ইশারায় তাদের ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। কিন্তু সামরিক বাহিনী তা অস্বীকার করেছে।
দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো সোমবার করাচিতে এক নির্বাচনী জনসভায় বলেছেন, পাকিস্তানের এই বৃহত্তম শহর যদি তার দল পিপিপিকে (পাকিস্তান পিপলস পার্টি) ভোট দেয় তবে নিশ্চিতভাবে তিনিই হবেন পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয় নির্বাচন ঘিরে গত কয়েক মাসে পাকিস্তান জুড়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে।
দু’টি বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ২৬ জন নিহত
জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হতে যখন ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই, তখন বুধবার বেলুচিস্তান প্রদেশে দু’টি বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির দৈনিক ডন।
এসজিএন