বিএনএ, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ সদরে বাবা ছেলে খুনের মামলায় সহোদর দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারী) বিকালে কোতোয়ালী মডেল থানা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, সদর উপজেলার কামাল উদ্দিনের ছেলে মাহাবুব (২২) ও জাহাবুর সরকার জাফর (২৬)।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) রাজধানীর বছিলা থেকে মাহবুব ও খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থেকে জাহাবুর সরকার জাফরকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়নের চুরখাই গ্রামে নিহত আবুল খায়ের ও একই এলাকার কামাল হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আবুল খায়ের বিক্রি করা জমির মাপ দিচ্ছিলেন। এসময় সেখানে গিয়ে তার চাচাতো ভাই ট্রাকচালক কামাল হোসেন, তার স্ত্রী, ছেলে ও শ্যালক নাইম বাধা দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে কামাল উদ্দিন ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খায়ের ও তার ছেলের ওপর হামলা করেন। এতে আবুল খায়ের (৬০), তার ছেলে ফরহাদ হোসেন (২০), রিফাত হোসেন (২৪), আবুল কাশেমের ছেলে আবু সাঈদ (২২), আবদুল খালেকের ছেলে আবুল হাসেম (৪৭) আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আবুল খায়ের ও তার ছেলে ফরহাদ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারী) নিহত খায়েরের ছেলে রিফাত মিয়া বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামী করে মামলা করেন। ওই মামলায় তথ্য প্রযুক্তির সহয়তায় অভিযান চালিয়ে মাহাবুব ও জাহাবুর সরকার জাফরকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেখানো মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহাবুব সরকার জাফর বাবা ছেলে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। মাহবুব স্বীকার না করায় সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারী এই মামলায় অভিযান চালিয়ে চার আসামী কামাল উদ্দিন, তার স্ত্রী জাহানারা, তাদের ১৫ বছর বয়সী ছেলে এবং কামাল উদ্দিনের শ্যালক নাঈমকে গ্রেফতার করে র্যাব-১৪।
বিএনএ/ হামিমুর রহমান, ওজি