দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বলেশ্বর নদী ও মোহনা অঞ্চলে ৫০ কি. মি দীর্ঘ এবং ৩৪৮ বর্গ কি.মি. বিস্তৃত অঞ্চলকে ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্র ঘোষণা করা হবে শিগগির। এই অঞ্চল হবে প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে দেশে ইলিশের ৫ম প্রজনন ক্ষেত্র চিহ্নিত হবে এবং সর্বমোট ৭ হাজার ৩৪৮ বর্গ কি.মি. এলাকায় ইলিশ অবাধে প্রজননের সুযোগ পাবে।
সোমবার(৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ইলিশ গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় বলেশ্বর নদীতে ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণ বিষয়ক অংশীজন কর্মশালায় দেশে ইলিশের ৫ম প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব করা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম কর্মশালায় বলেন, একটা সময় একেবারেই ইলিশ হারিয়ে যাচ্ছিল। সে জায়গা থেকে ইলিশের উৎপাদন এমন জায়গায় আনা হয়েছে যে বিজ্ঞানসম্মতভাবে সাত লাখ মেট্রিক টন আহরণের পর আরো দেড় লাখ মেট্রিক টন ইলিশ আহরণ করা যাবে।
শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, নদী দূষণ, অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন, নদীর গভীরতা কমে যাওয়া, অভয়াশ্রমে অবৈধ মৎস্য আহরণ, অপরিকল্পিত মৎস্য আহরণ, নদীতে ডিম ছাড়ার পরিবেশ বিঘ্নিত করাসহ নানা কারণে ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। তখন ইলিশ উৎপাদনে শীর্ষ দেশের পরিচয় আমাদের আর থাকবে না। এজন্য ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র ও অভয়াশ্রম সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, সমুদ্রে আমাদের বিশাল সম্ভাবনাময় মৎস্যসম্পদসহ অন্যান্য সম্পদ রক্ষার জন্য সামুদ্রিক মৎস্য আইন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দুর্বৃত্ত, জলদস্যু ও দেশের বাইরের লোক এসে যাতে অবৈধভাবে আমাদের মৎস্যসম্পদ আহরণ করতে না পারে তাদের উদ্দেশ্য করে এই আইন করা হয়েছে। দেশের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধি ও কমিউনিটি সম্পৃক্তকরণের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও এসময় জানান মন্ত্রী।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মৎস্য আহরণের সময় এবং মৎস্য আহরণ বন্ধের সময় নির্ধারণের যৌক্তিক, গবেষণালব্ধ ও বাস্তবতাসম্পন্ন কারণ রয়েছে। মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ দেয়াসহ বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে সরকার।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী ও বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আমিন উল আহসান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালেেয়র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকগণ, মৎস্য বিজ্ঞানী, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, মৎস্যজীবী ও ইলিশ জেলে প্রতিনিধিরা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএ নিউজ ২৪,জিএন