বিএনএ: ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম’র নতুন প্রকল্প পাস না হলে ১৫০ আসনে এই যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি নিতে হবে। এ কথা বলেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
রোববার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক ৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকার ওই প্রকল্পটি গত অক্টোবরে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছিল।
কারিগরি কমিটির মতামত ছাড়াই প্রকল্পটি পাঠানো হয়েছিল। যে কারণে পরিকল্পনা কমিশন ওই কমিটির মতামতসহ কিছু ‘পর্যবেক্ষণ’ দিয়ে প্রকল্পটি ইসিতে ফেরত পাঠায়। পরে কারিগরি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের সম্মতি নেয় ইসি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট করার লক্ষ্যে প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা এবং রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়ের লক্ষ্যে এ প্রকল্প প্রস্তাব করে ইসি। যা এখনও পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাবাধীন।
কমিশনার রাশেদা বলেন, ইভিএম প্রকল্প খুব বেশি আগায়নি। প্রকল্পের অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার কথা বলেছিলো কমিশন। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প পাস না হলে বর্তমানে যা আছে, তাই দিয়েই ভোট করতে হবে।
রাশেদা সুলতানা বলেন, কমিশনের সক্ষমতা তো জানামতে ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করার মতো আছে। এখন কী আছে জানি না।
বিএনএ/এ আর