বিএনএ ঢাকা: ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার আবারও বিভিন্ন কলাকৌশল শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপের কোনো অর্থ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সারাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের কাছে জিম্মি। এই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সংলাপ বর্জন করেছে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার যদি না থাকে তাহলে নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই। পরিষ্কার কথা, সবার আগে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। এরপর পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়াটাই একমাত্র পথ। এর বাইরে আর কোনো পথ নেই।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া হচ্ছেন গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক। সরকার তাকে মুক্তি দিতে চান না। তারা জানে, খালেদা জিয়া যদি মুক্ত হন তাহলে জনগণের উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি হবে। এই তরঙ্গে সরকার টিকে থাকতে পারবে না। এই কারণেই তারা খালেদা জিয়াকে মুক্তি চায় না। দলের চেয়ারপাসনের মুক্তি এখন জনগণের দাবি। এই দাবি অবশ্যই সরকারকে মেনে নিতে হবে। যদি সরকার সেটি মেনে না নেয় কিংবা অস্বীকার করে তাহলে তাদের অবস্থা অতীতের সরকারগুলোর পরিণাম ভোগ করতে হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। গত দেড় থেকে দুই মাস নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করছে বিএনপি। সারাদেশে অসংখ্য সমাবেশ হয়েছে। প্রত্যেকটি সমাবেশ থেকে লাখো মানুষের কণ্ঠে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার আওয়াজ এসেছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব।
বিএনএনিউজ/আরকেসি