বিএনএ, রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এই কোটা প্রসঙ্গে শিক্ষকদের “ওপেন ডিবেটে” বসার চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর ২০২৪) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ হলে হলে প্রদক্ষিণ করে।
মিছিলে ‘কোটা নয়, মেধার জয়; জোহা স্যারের স্মরণে, ভয় করি না মরণে; তুমি কে আমি কে, মেধাবী মেধাবী; পোষ্য কোটা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক; জনে জনে খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে; দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেব রক্ত’ রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায় ইত্যাদি স্লোগানে প্রকম্পিত হয় ক্যাম্পাস।
এরপর এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে পোষ্য কোটার বিষয়ে শিক্ষকদের উন্মুক্ত বিতর্কে বসার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।
পোষ্য কোটার কবর রচনা হবে ইনশাআল্লাহ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, “শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবিতে আমরা জুলাই-আগস্টে আন্দোলন করি নাই। আমরা একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে পেরেছি; ফ্যাসিস্টের দোসর প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। যারা রাষ্ট্রের জন্য সংকট তৈরি করবে; মেধাবীদের জন্য সংকট তৈরি করবে তাদের ছুঁড়ে ফেলে দিতে আমরা বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করবো না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েই পোষ্য কোটার কবর রচনা হবে ইনশাআল্লাহ।”
রাবির সমন্বয়ক মেশকাত মিশু বলেন, “অযৌক্তিক কোটার বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে। পোষ্যকোটা একটি ষড়যন্ত্র। এটি প্রতিহত করবোই।”
বাপ-দাদার কোটাকে বিলুপ্ত করে আমাদের মুক্তি দিন
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী মারুফ বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অযৌক্তিক পোষ্য কোটা আমরা রাখতে দিবো না; এর জন্য যদি আবার রাস্তায় নামতে হয়, আমরা নামবো। যদি রক্ত দিতে হয়, রক্ত দিবো; কিন্তু পোষ্য কোটার কবর রচনা এখানেই হবে। ছাত্র-জনতা আপনারা প্রস্তুত হন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো পোষ্য কোটা থাকবে না। এই বাপ-দাদার কোটাকে বিলুপ্ত করে আমাদের মুক্তি দিন।”
আমরা চাই, এ ইস্যুটির একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, যেকোনো বিষয়েই শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করতে পারে; এটি তাদের অধিকার। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোটা ইস্যুতে শিক্ষার্থীসহ, অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই, এ ইস্যুটির একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক।”
এর আগে, রাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শনিবার পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা। এরপরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আন্দোলনে নামেন তারা।
বিএনএনিউজ২৪, সৈয়দ সাকিব, এসজিএন