যশোর : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষার বিদ্যমান সমস্যার সমাধান এবং কাঙ্ক্ষিত মান উন্নয়ন করা আমাদের লক্ষ্য। বাচ্চারা কি শিখছে- সেটা আমাদের মূল বিবেচ্য বিষয়। এটা যেন আগামীতে আমাদের সকল প্রচেষ্টায় প্রতিফলিত হয়। এ লক্ষ্যে প্রাথমিক স্কুলের আগের ব্যবস্থাপনা কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটির নৈতিক দায়িত্ব প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠনমূলক ভূমিকা রাখা। মাঠপ্রশাসনে কর্মরত কর্মকর্তাদের একইসঙ্গে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতি আগ্রহী করতে কর্মকর্তা ও নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা শনিবার(৭ ডিসেম্বর) যশোর সার্কিট হাউজে যশোর জেলার মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক মোঃ আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আব্দুল হাকিম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ বাশার, বিভাগীয় পরিচালক ডঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম।
উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষকরা বাচ্চাদের সাক্ষরতা শেখায়। সাক্ষর হওয়া মানেই নিজের ভাষায় পড়তে, লিখতে ও মনের ভাব প্রকাশ করতে পারা। চারপাশের সবকিছু থেকে বাচ্চারা শিখতে থাকে। সেই সাথে নীতি ও নৈতিকতা শিখতে পারে চারপাশের মানুষদের আচরণ দেখে। শিক্ষকদের আচরণ, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের নৈতিকতা ও আচরণ থেকেও বাচ্চারা নৈতিকতা শিখে। প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ভাষাজ্ঞান ও গাণিতিক দক্ষতার কাঙ্ক্ষিত উত্তরণ করতে পারলেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মূল লক্ষ্য অর্জিত হবে। একই সঙ্গে সামাজিক আচরণের বিকাশে ও শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে।
এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা যশোরের ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতার কারণে সৃষ্ট প্রতিকূল পরিবেশে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সারাবছর লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়ার জন্য কার্যকর আশুপদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
উপদেষ্টা পরে যশোরে হোটেল অরিয়নে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত ‘প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি-৫ প্রকল্পের জন্য ডিজাইনিং কর্মশালা’-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
বিএনএনিউজ২৪, এসজিএন/এইচমুন্নী