প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ৭ ডিসেম্বর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং প্রভাবশালী দেশের শীর্ষ সংসদীয় শুনানিতে অন্যায্যভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি সেক্যুলার সংবাদপত্র ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে বাংলাদেশের কথিত ধর্মীয় সহিংসতার মামলাগুলো তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘নেত্র নিউজ যখন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে হামলার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছিল, আমি আশা করেছিলাম যে ঐক্য পরিষদ এই বিষয়ে একটি বিবৃতি দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নেত্র নিউজ এমন একটি শীর্ষস্থানীয় তদন্তমূলক ওয়েবসাইট, যা বাংলাদেশের বড় বড় দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন করে সুনাম অর্জন করেছে।’
প্রেস সচিব উল্লেখ করেন, নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সংখ্যালঘু পরিষদ যে নয়জন হিন্দু মৃত্যুর কথা বলেছিল, তাদের প্রায় সবগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত বা অন্যান্য কারণ যুক্ত ছিল, যা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নয়।
এদিকে ৫ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ভারতীয় মিডিয়া যা করছে আপনারা(সাংবাদিকরা) এর প্রতিবাদ করবেন এবং সত্যি ঘটনা প্রকাশ করবেন,তবেই ওদের মুখে চুনকালি পড়বে। একটা দেশ অন্য দেশ নিয়ে কতটা নগ্ন ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করতে পারে ভারতীয় মিডিয়া এর উদাহরণ।
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে সীমান্তে কোনো ধরনের উত্তেজনা নেই,সীমান্তগুলো অন্যান্য সময়ের মতো স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। তবে ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশ সম্পর্কে অপপ্রচার চালাচ্ছে ৷ এজন্য তিনি বাংলাদেশের মিডিয়াগুলোকে সত্য খবর প্রকাশ করে ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের জবাব দেয়ার অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, একটা দেশ অন্য দেশ নিয়ে কতটা নগ্ন ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করতে পারে ভারতীয় মিডিয়া এর উদাহরণ। আমরা যারা এদেশে বসবাস করছি সবাই একসঙ্গে এর প্রতিবাদ করবো।
তিনি আরও বলেন, ভারত ইস্যুতে কোনো উদ্বেগজনক আশঙ্কা নেই। তারা যা করছে আপনারা এর প্রতিবাদ করবেন এবং সত্যি ঘটনা প্রকাশ করবেন,সেই সময় ওদের মুখে চুলকানি পরেবে।
প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় মিডিয়ার একচেটিয়া বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা চালানো জবাবে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের উচিত হবে লন্ডন বা আমেরিকায় সংবাদ সম্মেলন করে সত্য প্রকাশ ও তদন্তের আহবান জানানো। সেখানে বিশ্বের বড় বড় মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরাও যেন উপস্থিত থাকেন তা নিশ্চিত করা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা বিবৃতি কেবল কিছু সংখ্যক বাংলাভাষার মানুষ পড়বে। তাই ভারতের মিডিয়ার প্রপাগন্ডার বিরুদ্ধে দাড়াতে হলে লন্ডন বা আমেরিকায় সংবাদ সম্মেলন করা জরুরি।
রাসেল সরকার
গেন্ডারিয়া, ঢাকা।
মতামতের জন্য সম্পাদক বা প্রকাশক, বা বিএনএ কর্তৃপক্ষ দায়ী নন। তা পাঠকের নিজস্ব মতামত।