বিএনএ ডেস্ক: বিশ্বের বিখ্যাত রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের আর্থিক কেলেংকারির তালিকা প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে)এর প্যান্ডোরা পেপার্স। বাংলাদেশ সময় সোমবার (৬ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে প্রকাশিত নতুন এই তালিকায় সাত লাখ ৪০ হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে।ফাঁসকৃত গোপনীয় আর্থিক দলিলপত্রে আট বাংলাদেশির নাম পাওয়া গেছে। তাদের সবারই অন্যান্য দেশের নাগরিকত্ব আছে।
তবে এই তালিকায় ঠাঁই পাওয়া বাংলাদেশিদের অবৈধ কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমনকি যেসব সাংবাদিক এই তথ্য ফাঁস করেছেন তারাও সেটি নিশ্চিত করতে পারেননি।
তালিকায় নিহাদ কবীর নামের এক বাংলাদেশি নারী ব্যবসায়ীর নাম রয়েছে। রাজধানী ঢাকার ইন্দিরা রোডে তার একটি বাসা আছে বলে নথিতে বলা হয়েছে। তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০০৮ সালের আগস্টে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে ক্যাপিটাল ফেয়ার হোল্ডিংস লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি তার নামে নিবন্ধিত হয়।
এই প্যান্ডোরা পেপার্স তালিকায় আছেন ইসলাম মঞ্জুরুল নামের আরেক বাংলাদেশি। ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে ওরিয়েন্টাল এগ্রিকালচারাল কেমিক্যাল কোম্পানি নামে নিবন্ধিত একটি কোম্পানির মালিক তিনি। তার ঠিকানা ঢাকার গুলশানে এবং তার যুক্তরাজ্যের পরিচয়ও আছে।
অন্যরা হলেন, সাইদুল হুদা চৌধুরী, সাকিনা মিরালি, আনিতা রাণী ভৌমিক, মোহাম্মদ ভাই, ওয়ালটার প্রামাদ ও ডেনিয়েল ওরনেস্টো আয়ুবাট্টি। এদের মধ্যে সাইদুল হুদা, সাকিনা ও মোহাম্মদ ভাইয়ের ঠিকানা ঢাকার গুলশান ও আনিতা রাণীর ঠিকানা পুরান ঢাকার চকবাজার উল্লেখ করা হয়েছে।
নথিতে মুন রেকার সার্ভিস করপোরেশনের মালিক সাকিনা, বেবেন ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির মালিক সাইদুল, ইন্টারপ্রাইজ হোল্ডিংস লিমিটেডের মালিক আনিতা, ১৯৩৬ হোল্ডিংস লিমিটেডের মোহাম্মদ ভাই, সিল্ট লিংক লিমিটেডের মালিক প্রামাদ ও কুডেল লিমিডেটের মালিক ডেনিয়েলের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে প্রথম দফায় প্যান্ডোরা পেপার্স প্রকাশিত নথিতে নেপালের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টুর নাম উল্লেখ করা হয়েছিল।
পেন্ডোরা পেপার্সটি এক কোটি ২০ লাখ নথির সংকলনে তৈরি করা হয়েছে। নথিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনী ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ ও ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের অর্থ পাচার, কর ফাঁকি এবং গোপন সম্পদের তথ্য রয়েছে। এসব তথ্য সংগ্রহে কাজ করেছেন বিশ্বের ১১৭টি দেশের ৬০০ সাংবাদিক।
বিএনএনিউজ/আরকেসি
