Bna breaking news : ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সচিবালয়ে দপ্তরে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। জানা গেছে, পরে এটি মন্ত্রী পরিষদ সচিবালয়ে পাঠানো হয়। সেখানে ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন ডা.মুরাদ হাসান।
এর আগের নিউজ : তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
মঙ্গলবার(৭ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১২টার দিকে ইমেইলে প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র পান তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এখন তার পদত্যাগপত্রটি কার্যকর করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দিতে উদ্যেগ নেন সংশ্লিষ্টরা।
ডা. মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য। পেশায় চিকিৎসক এই রাজনীতিবিদ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। পরে ২০১৯ সালের মে মাসে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য এবং অডিও ফাঁসে সমালোচনায় থাকা তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবারের (৭ নভেম্বর) মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা এরই মধ্যে অবহিত করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে নিজের সরকারি বাসভবনে ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
সম্প্রতি এক ফেসবুক লাইভ সাক্ষাতকার অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ । সেটি ভাইরাল হলে অনেকেই তার বক্তব্যের সমালোচনা করেন। সমালোচনাকারীদের মধ্যে আওয়ামীলীগের অনেকে নেতাকর্মীও যোগ দেন।
এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ৪০ নারী অধিকারকর্মী। তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যকে ‘লিঙ্গবাদী’, ‘কুৎসিত যৌন হয়রানিমূলক’ বলেও আখ্যা দিয়ে তার অপসারণ দাবি করেন তারা। বিবৃতিতে নারী অধিকারকর্মীরা বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় পদে আসীন একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীর মুখে এই ভাষা বাংলাদেশের আপামর নারীদের অপমান এবং অসম্মান করেছে বলে আমরা মনে করি। এর মধ্য দিয়ে নারীর প্রতি যৌন হয়রানিকে সমাজ এবং রাষ্ট্রে কাঠামোগতভাবে প্রতিষ্ঠিত করার বৈধতা দেওয়া হয়।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ সম্পর্কে বলেন,
তিনি মন্ত্রাণালয়ে কাজের ব্যাপারে সবসময় সহযোগিতা করেছেন। ড. হাছান মাহমুদ ডাক্তার মুরাদ হাসানের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন। সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, গত তিনমাস ধরে প্রতিমন্ত্রীর আচরণ ও কিছু কথা বার্তা অন্যরকম মনে হচ্ছিল। মঙ্গলবার(৭ডিসেম্বর) মন্ত্রাণালয়ে ড. হাছান মাহমুদ এ সব কথা কথা বলেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকালে বলেন, যেহেতু তিনি জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য, স্থানীয় দলীয় নেতা তাই তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সেখান থেকে সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠাতে হবে। অথবা দলীয় সভাপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দলের প্রধান হিসেবে ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে দলীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন। তবে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হবে।
বিএনএনিউজ২৪,জিএন